কলকাতা: যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনার নেপথ্যে আসল রহস্য কী তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির নজরে দুই ফেটসু নেতা। তাঁরা হলে গৌরব দাস ও অরিত্র মজুমদার। সূত্রের খবর, হস্টেলে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। হস্টেল সুপার তা স্বীকারও করে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইউনিয়ন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গৌরব। তবে খোঁজ মিলছে না অরিত্রর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও আন্দোলনের প্রথম সারির মুখ ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই দুই পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর একটি জিবি মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে ঠিক করা হয় এই ঘটনার কী ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়, হস্টেলের বিষয় হস্টেলেই মিটিয়ে নেওয়া হবে। বাইরে কেউ কিছু জানাবে না। পাশাপাশি হস্টেল গেট বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জিবি মিটিংয়ে মদত ছিল ফেটসু এই দুই নেতা গৌরব এবং অরিত্রর। ভবিষ্যতে এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে গৌরব জানিয়েছেন, “আমি পদত্যাগ করেছি। ব্যাস এতটুকুই”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার যাদবপুরে হস্টেল থেকে পড়ে পড়ুয়া মৃত্যু হয় স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারপরই তোলপাড় হয় রাজনীতি। গ্রেফতার হন তিনজন।