Student Missing: বোর্ডিং স্কুল থেকে নিখোঁজ দুই পড়ুয়া, সহকারি প্রধান শিক্ষক বললেন ‘মাতব্বরি করে চলে গিয়েছে’

Dumdum: সুজিত কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা। অপর ছাত্র প্রশান্তর বাড়ি নদিয়া জেলার তাহেরপুর এলাকায়। স্কুল ছুটির পর বাকিরা ফিরে এলেও ওই দুই পড়ুয়া না ফেরায় তাদের জন্য খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়।

Student Missing: বোর্ডিং স্কুল থেকে নিখোঁজ দুই পড়ুয়া, সহকারি প্রধান শিক্ষক বললেন 'মাতব্বরি করে চলে গিয়েছে'
দমদমের স্কুুল থেকে নিখোঁজ দুই পড়ুয়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 9:44 PM

কলকাতা : দমদমের কুমার আশুতোষ মেইন বোর্ডিং স্কুল থেকে বেপাত্তা দুই সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সোমবারের এই ঘটনার জেরে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে সিঁথি থানায়। দীর্ঘদিন গরমের ছুটি থাকার পর সোমবার থেকে শুরু হয় পঠন পাঠন। সেইমতো দমদম কুমার আশুতোষ স্কুলে পঠন-পাঠন শেষে ঠিক বিকেল চারটে স্কুল ছুটি হয়। তারপর বাকি ছাত্ররা সময় মতো বোর্ডিংয়ে পৌঁছালেও সুজিত রায় এবং প্রশান্ত বিশ্বাস নামে দুই পড়ুয়ার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। সুজিত কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা। অপর ছাত্র প্রশান্তর বাড়ি নদিয়া জেলার তাহেরপুর এলাকায়। স্কুল ছুটির পর বাকিরা ফিরে এলেও ওই দুই পড়ুয়া না ফেরায় তাদের জন্য খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়।

বিকেল চারটের সময় স্কুল ছুটি। এদিকে সন্ধে সাতটা পর্যন্তও কোনও খবর পাওয়া যায় না দুই পড়ুয়ার। উদ্বিগ বাড়তে থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। খবর পাঠানো হয় দুই পড়ুয়ার বাড়িতেও। একরাশ উৎকণ্ঠা নিয়ে পরিবারের সদস্যরাও স্কুলে এসে পৌঁছান। তখনও খোঁজ মেলেনি দুই ছাত্রের। এরপর আর দেরি না করে দুই ছাত্রের নামে প্রথমে সিঁথি থানা নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে দমদম জিআরপিতে লিখিতভাবে জানানো হয় পরিবারের তরফ থেকে।

দমদম রেল স্টেশনের অদূরেই এই স্কুলটি। সে ক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে, ট্রেনে করে এই দুই ছাত্র অন্য কোথায় চলে গিয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই দমদম জিআরপিকে জানানো হয় গোটা বিষয়টি। এদিকে স্কুল এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক চন্দন ঘোষ জানান, অতীতে এই ধরনের ঘটনা একবার ঘটেছিল। সেই কারণে পরিবারকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সপ্তম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার সন্ধান পেতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি বলেন, ” রেসিডেনশিয়াল ইউনিটের দুই ছাত্র ছুটির পর অন্যদের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোটরা আসে। অনেক সময় দেখা যায়, তাদের পড়াশোনায় মন থাকে না। ওরা অনেক সময় না বলে বাড়ি চলে যায়। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। হয়ত ওরাও নিজেরা মাতব্বরি করে বাড়ি চলে গিয়েছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। বিষয়টি এখনও সাংঘাতিক কিছু হয়েছে বলা যায় না।” তবে বিদ্যালয় থেকে দুই ছাত্রের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অভিভাবকরা।