কলকাতা: রহস্যভেদ করতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়েছে খোদ পুলিশ। অয়ন খুনের জট যতই খুলছে ততই দেখা যাচ্ছে নিত্য নতুন মোড়। এমনকী যেভাবে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা কার্যত যে কোনও বলিউডি সিনেমার চিত্রনাট্যকে হার মানাতে পারে বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। এদিকে অয়নের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী ও মা দুজনেরই সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন অয়নের বাবা অমর মণ্ডল। অন্যদিকে অয়নের বান্ধবীর বাবা আবার অয়নের বিরুদ্ধে আগেই তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। যা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।
এদিকে আবার অয়নের বন্ধুরা আবার কার্যত অয়নের বাবার সুরেই কথা বলছেন। তাঁদের সাফ দাবি বাড়িতে বান্ধবীর বাবা না থাকলেই অয়নকে ডেকে পাঠাত তাঁর মা। এ প্রসঙ্গে অয়নের এক বন্ধু বলেন, “মেয়েটার সঙ্গে ছেলেটার প্রেম ছিল। কিন্তু, মেয়েটার বাবা ঘরে না থাকলেই মেয়েটার মা অয়নকে ফোন করে ডাকে। বলে তোমার কাকু ঘরে নেই তুমি এসো। ওর মা ওকে ভালবাসতে চায়। কিন্তু ছেলেটা মেয়েকে ভালবাসে।” অয়নের বাবার দাবি, “বাড়িতে ওর মা ডেকে নিয়ে যেত। ওর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল আমার ছেলের। ওর মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সে কারণেই ওর মা ডেকে খুনটা করেছে।”
এদিকে আবার অয়নের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ তুলে বান্ধবীর বাবার দাবি ছিল, “আমার মেয়ের সঙ্গে অয়নের সম্পর্ক আমার মেয়ে মেনে নেয়নি। অয়ন জোর করে ওকে ধর্ষণ করে। তারপর ওকে সেই ছবি দেখিয়ে ওর মাকেও ধর্ষণ করেছে।” কিন্তু, এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও কেন তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন না? এ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর দাবি, “থানায় এর আগে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ছবির জন্য, আত্মসম্মান রক্ষার জন্য আমরা চেপে যাই। আমরা মেয়েকে বাইরে পাঠিয়েও দিই। পরিবারের বাকিদেরও বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। অয়নের অভিভাবকদেরও ঘটনার কথা জানিয়েছিলাম।”
বাবার সুরেই কথা বলতে গিয়েছে অয়নের বান্ধবীকে। তাঁরও দাবি ভিডিয়ো ভাইরালের ভয় দেখালেও ভয়েই কাউকে সে কথা তাঁরা বলতে চাননি। তাঁর সাফ দাবি, “রেপও করেছে। ব্ল্যাকমেইলও করেছে। ফোটোগুলি নিয়ে একবার থানায় যাওয়া হয়েছিল। ও তখন আমাদের সামনে, ক্লাবের সদস্যদের সামনেও বলেছিল ও ছবিগুলি ডিলিট করে দিয়েছে। তখন সামনে ওর বাড়ির লোক আমার বাড়ির লোকও ছিল। ডিলিট করে কথা দিয়েছিল আর ব্ল্যাকমেল করবে না। তবে থানায় আর শেষ অবধি অভিযোগ জানাইনি কারণ আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই ব্ল্যাকমেল করছিল। আমার বাবাকেও দেখিয়েছিল। আমাদের কাছেও আছে সেই ছবি।”