UGC on CUET: অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু করতে এবার সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের চিঠি পাঠাবে ইউজিসি
UGC : মঞ্জুরি কমিশনের প্রধান এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্যগুলির অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পর্কে উপাচার্যদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন জগদীশ কুমার।
কলকাতা : অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু করতে এবার সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার। উল্লেখ্য এর আগে সব উপাচার্য ও প্রিন্সিপাল দের চিঠি লিখেছে ইউজিসি। মঞ্জুরি কমিশনের প্রধান এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্যগুলির অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পর্কে উপাচার্যদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন জগদীশ কুমার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, “আমি কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট সম্পর্কে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখব। আমি সমস্ত রাজ্যের অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গেও দেখা করব। যাতে তাঁদের স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়ার জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা যায়, সেই চেষ্টা করব। যাতে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী একইরকমভাবে উপকৃত হতে পারে এবং সমান ক্ষেত্র পেতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ।”
উল্লেখ্য, প্রথমে মঞ্জুরি কমিশনের প্রধান গুজরাটের ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এই বিষয়ে জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, “আমরা একটি বিশদ আলোচনা করেছি। তাঁরা বোর্ডে আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখন তাদের বিধিবদ্ধ সংস্থা যেমন অ্যাকাডেমিক এবং এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবে রাখবে। যদি কিছু প্রশ্ন বা কোনও সংশয়ের জায়গা থাকে, আমরা পরামর্শ করে সেগুলি সমাধান করতে প্রস্তুত।” এর আগে গত সপ্তাহেই জগদীশ কুমার জানিয়েছিলেন, দ্বাদশ শ্রেণির নম্বর নয়, বরং অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ৪৫ টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য বাধ্যতামূলত হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের ন্যূনতম যোগ্যতার মানদণ্ড ঠিক করতে পারে।
জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, “আমি পরবর্তী সময়ে অসম এবং কর্ণাটকের উপাচার্যদের সঙ্গে দেখা করব।” তিনি এর আগে জানিয়েছিলেন, “টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) এবং জামিয়া হামদর্দ সহ আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থীদের স্নাতক কোর্সে ভর্তি করার জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষ ব্যবহার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং সেই সঙ্গে বেশি কিছু নামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কমিশন তাদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় কমন ইউনিভার্সিটি এন্টান্স টেস্টের পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য বলেছে।