Upen Biswas Video Case: চাকরির নামে লাখ টাকা নেওয়া ‘রঞ্জন’ আসলে কে? বিষয়টাতে গুরুত্ব দিতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 08, 2022 | 5:41 PM

Upen Biswas Video Case: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস একটি ভিডিয়োয় দাবি করেছিলেন ‘রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তি শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নেন. তবে রঞ্জনের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।

Upen Biswas Video Case: চাকরির নামে লাখ টাকা নেওয়া রঞ্জন আসলে কে? বিষয়টাতে গুরুত্ব দিতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
কে এই রঞ্জন?

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের পোস্ট করা একটি ভিডিয়ো ঘিরে সামনে আসে একাধিক প্রশ্ন। ভিডিয়োতে রঞ্জন নামে আসলে কার কথা বলা হয়েছে? তিনি নিছকই কাল্পনিক চরিত্র নাকি তাঁর সত্যিই কোনও ভূমিকা আছে? সেই প্রশ্ন এবার উঠল আদালতে। প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বুধবার সেই ভিডিয়ো সম্পর্কিত তথ্যট পড়ে শোনান মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই ভিডিয়োর কথা শুনে ওই চরিত্রের বিষয়ে যে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, সে কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি।

গত কয়েক মাসে ধরে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। ফেসবুকে চাকরি বিক্রি হচ্ছে বলে যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন উপেন বিশ্বাস, তার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রঞ্জন আদতে কে, তা জানতে চায় আদালত। উপেন বিশ্বাস সিবিআই-এর প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। তাই তাঁর মতামতের গুরুত্ব আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।

মামলাকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন, এই রঞ্জন আসলে চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি, যিনি পেশায় শিক্ষক। তাঁকে প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। এ ছাড়া, আদালত আশা করছে উপেন বিশ্বাসও এই তদন্তের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। আদালতের তরফে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ জুন-এর মধ্যে সিবিআই ও প্রাইমারি বোর্ড রিপোর্ট দেবে আদালতকে।

ভিডিয়োতে উপেন বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, ওই রঞ্জন নাকি শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। আর এই নিয়েই জোর শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। কে এই রঞ্জন? তার পরিচয় কী? তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। উপেন বাবু আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি এই ইস্যুতে সিবিআইয়ের কাছে যাবেন না। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যদি এই নিয়ে তাঁর কাছে আসেন, তবে তিনি তদন্তের কাজে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। অন্যদিকে, রাজ্যের দাবি রঞ্জনের আদতে কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই নিয়োগ মামলার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোর কোনও অর্থ নেই। কিন্তু রঞ্জনকে চিনে নিতে এবার তৎপর আদালতও।

Next Article