কলকাতা: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে (Uttarakhand Trekking) গিয়ে মৃত্যু বাংলার ৫ জনের। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কন্ট্রোল রুম থেকে বাংলার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন,সাধন বসাক, তিনি ঠাকুরপুকুর জায়গীর রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও বিকাশ মাকাল, সৌরভ দাস, সাবিয়ান দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের পরিচয় জানা গিয়েছে। আরও এক জনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তাঁদের দেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে তাঁরা প্রত্যেকেই ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন। বিপর্যয়ের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দেহ নিয়ে আসার জন্য চপার পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিঁখোজ ৪।
১১ জন পর্বতারোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল আগেই। অর্থাৎ বাকি ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হল। বাকিদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তা জানতে চলছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, এই দলটি ট্রেকিং-এ গিয়েছিল। সেখানে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ওই দলের মধ্যে ছিলেন ৭ জন বাঙালি।
এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন অনেকেই। নৈনিতাল থেকে কৌশানী যাওয়ার পথে ভওয়ালী নামে একটি জায়গায় আটকে পড়ে হুগলির একটি পরিবার। তিনদিন ধরে একটি গেস্ট হাউসে আটকে আছেন তাঁরা। এখনও খাবারের সমস্যা না হলেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন প্রত্যেকে।
উত্তরপাড়া মাখলার ঘোষ পরিবারও একই ভাবে আটকে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডে। নৈনিতাল যাওয়ার পথে আলমোরা জেলার বিনসারে আটকে রয়েছেন তাঁরা। মমি ঘোষ ফোনে জানিয়েছেন,এই মুহুর্তে বৃষ্টি কমেছে তবে রাস্তায় ধ্বস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে পর্যটকরদের।
উত্তরাখণ্ড পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ দিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট ও উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী ধাওয়ান সিং রাওয়াতের সঙ্গে হেলিকপ্টারে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন অমিত শাহ।
সর্বাধিক মৃতের সংখ্যা নিয়ে এই বিপর্যয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নৈনিতালই। পর্যটকে ভরা নৈনিতালে প্রায় দুদিন বাদে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে আজ। তবে একাধিক জায়গাতেই এখনও নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। নৈনি ঝিল উপচে পড়ায় পার্শ্ববর্তী রাস্তাগুলি এখনও জলমগ্ন। বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও এখনও একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে সে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: ৮০ শতাংশ উপস্থিতির হার না পরীক্ষায় বিপদ! আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের টলাতে এবার হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি