কলকাতা: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ছবি প্রকাশ করল রেল। মঙ্গল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে কারশেডে ট্রেন ঢোকার সময় পাথর ছোড়া হয়। রেলের প্রকাশ করা ছবিতে স্পষ্ট পাথর ছোড়ার ছবি। সোমবারও পাথর ছোড়া হয় বন্দে ভারতে। নতুন সেমি হাইস্পিড ট্রেনের দুটি কাচ ভাঙা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই যারা পাথর ছুড়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদেরকে চিহ্নিত করেছে রেল। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
মূলত যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবেই কড়া পদক্ষেপ করতে তৎপর রেল। তবে ইট ছোড়ার ঘটনায় যাত্রীরা যাতে কোনওভাবেই উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়েন, তার জন্য রেলের তরফে আশ্বস্তও করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “যাত্রীরা কোনওভাবেই উদ্বিগ্ন হবেন না। যাত্রীদের কোনও অসুবিধা হবে না। তবে ট্রেনকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এটা নতুন কিছু নয়। যাত্রীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও বিষয় নয়।”
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “এর আগে আমরা দেখেছি বাংলার ভালো কাজকে বিজেপি চুরি করে অন্য রাজ্যে প্রচার করে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে মা ফ্লাইওভারের ছবি চুরি করেছিল, গুজরাট নির্বাচনের আগেও বাংলার ভাল ভাল কাজগুলিকে চুরি করে দেখানো হয়েছে। বাংলার অনুকরণে নির্বাতনী ইস্তেহার করেছিল। আবার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও একটা সিনেমার ঘটনা দেখিয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হয়েছে। বিজেপি-র যে নেতারা বাংলায় আসেন, তাঁরা বাংলাবিদ্বেষী। তাঁদের কাজই বাংলাকে বদনাম করা। উত্তরপ্রদেশে তিনবার বন্দে ভারতে হামলা হয়েছে। শকুনের রাজনীতি হচ্ছে।”
শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সোমবারই মালদায় হাওড়াগামী ডাউন ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস লক্ষ্য় করে ইট ছোড়া হয়। জানালার কাচ ভেঙে যায়। বিতর্কের ঝড় ওঠে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের হামলা হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ওপরেই। হাওড়া থেকে এনজেপি ঢোকার সময় বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়।
মালদার ঘটনায় সামসি আরপিএফ পোস্টে এফআইআর দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে কাটিহার ডিভিশন৷ এবার ৩ তারিখের ইট বৃষ্টির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি এগনোর ফাঁকেই বিতর্কও বাড়তে থাকে ঝড়ে গতিতে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন। তাঁর অভিযোগ, বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। তারই প্রতিশোধে এই হামলা। অন্যদিকে, পাথর ছোড়ার বিষয়ে বাঙালির মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তুন সেনের বক্তব্য, পাথর ছোড়ার বিষয়টি নিন্দনীয়। তবে তা নিয়ে রাজনীতি আরও বেশি নিন্দনীয়।
কলকাতা: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ছবি প্রকাশ করল রেল। মঙ্গল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে কারশেডে ট্রেন ঢোকার সময় পাথর ছোড়া হয়। রেলের প্রকাশ করা ছবিতে স্পষ্ট পাথর ছোড়ার ছবি। সোমবারও পাথর ছোড়া হয় বন্দে ভারতে। নতুন সেমি হাইস্পিড ট্রেনের দুটি কাচ ভাঙা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই যারা পাথর ছুড়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদেরকে চিহ্নিত করেছে রেল। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
মূলত যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবেই কড়া পদক্ষেপ করতে তৎপর রেল। তবে ইট ছোড়ার ঘটনায় যাত্রীরা যাতে কোনওভাবেই উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়েন, তার জন্য রেলের তরফে আশ্বস্তও করা হয়েছে।
পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “যাত্রীরা কোনওভাবেই উদ্বিগ্ন হবেন না। যাত্রীদের কোনও অসুবিধা হবে না। তবে ট্রেনকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এটা নতুন কিছু নয়। যাত্রীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও বিষয় নয়।”
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “এর আগে আমরা দেখেছি বাংলার ভালো কাজকে বিজেপি চুরি করে অন্য রাজ্যে প্রচার করে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে মা ফ্লাইওভারের ছবি চুরি করেছিল, গুজরাট নির্বাচনের আগেও বাংলার ভাল ভাল কাজগুলিকে চুরি করে দেখানো হয়েছে। বাংলার অনুকরণে নির্বাতনী ইস্তেহার করেছিল। আবার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও একটা সিনেমার ঘটনা দেখিয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হয়েছে। বিজেপি-র যে নেতারা বাংলায় আসেন, তাঁরা বাংলাবিদ্বেষী। তাঁদের কাজই বাংলাকে বদনাম করা। উত্তরপ্রদেশে তিনবার বন্দে ভারতে হামলা হয়েছে। শকুনের রাজনীতি হচ্ছে।”
শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর সোমবারই মালদায় হাওড়াগামী ডাউন ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস লক্ষ্য় করে ইট ছোড়া হয়। জানালার কাচ ভেঙে যায়। বিতর্কের ঝড় ওঠে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের হামলা হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ওপরেই। হাওড়া থেকে এনজেপি ঢোকার সময় বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়।
মালদার ঘটনায় সামসি আরপিএফ পোস্টে এফআইআর দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে কাটিহার ডিভিশন৷ এবার ৩ তারিখের ইট বৃষ্টির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি এগনোর ফাঁকেই বিতর্কও বাড়তে থাকে ঝড়ে গতিতে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন। তাঁর অভিযোগ, বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। তারই প্রতিশোধে এই হামলা। অন্যদিকে, পাথর ছোড়ার বিষয়ে বাঙালির মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তুন সেনের বক্তব্য, পাথর ছোড়ার বিষয়টি নিন্দনীয়। তবে তা নিয়ে রাজনীতি আরও বেশি নিন্দনীয়।