কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) সিদ্ধান্তকে খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই উপাচার্য কাজ করতে পারেন না বলে মন্তব্য বিচারপতি অমৃতা সিনারের।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনের শিক্ষিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বভারতীতে যোগ দেন। এর আগে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই শিক্ষিকার বকেয়া বেতন না মেটানোয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার ছুটি সংক্রান্ত একটি মামলায় ওই শিক্ষিকার পক্ষেই শুনানি দিল আদালত। বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী, ৮ জন অধ্যাপক নিয়ে গঠিত কর্মসমিতি এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে তার শুনানি গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর উপাচার্য শুনানির জন্য একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেন।
উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ওই অধ্যাপিকা। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ, “বিশ্বভারতীর নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না উপাচার্য। তাই ছুটি সংক্রান্ত সমস্যার শুনানি ওই কর্মসমিতির নিতে হবে।” পাশাপাশি উপাচার্যের সিদ্ধান্তকে খারিজও করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে পাঁচটি বর্ধিত ভাতার আর্জি জানিয়েও মামলা করেছিলেন শ্রুতি দেবী। তাঁকে চারটি বর্ধিত ভাতা বা ‘ইনক্রিমেন্ট’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে আসেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিছুদিন পরই তিনি ওই শিক্ষিকাকে জানান, প্রাপ্য বেতনের থেকে তাঁকে অনেক বেশি দেওয়া হয়েছে। তার জন্য ১৪ লক্ষ টাকা তাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য। বিশ্বভারতীর অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় বেতন সংক্রান্ত এই সমস্যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যে মামলার শুনানিতে কিছুদিন আগেই কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেছিল আদালত।
এদিকে গত ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বেতন-পেনশন না পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েই। জুলাই মাসের অর্ধেক গড়িয়ে গেল তাঁরা জুনের বেতন পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-কর্মীরা। এই নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অধ্যাপক-কর্মীরা। আরও পড়ুন: কোথায় থাকবে অস্ত্র? আসা-যাওয়ার মাঝে বিজেপি বিধায়কদের ‘বাহিনী বিড়ম্বনা’!