কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য সমস্যা মেটাতে এবার আসরে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। আচার্য-উপাচার্য-শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন খোদ অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। এমনকী, গতকাল দীর্ঘক্ষণ রাজভবনে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। রাজভবনে উপাচার্য সমস্যার সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টাও হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত্রিবেলাই দিল্লি থেকে সোজা কলকাতায় উড়ে এসেছেন তিনি। রাত্রি ১০টা নাগাদ পৌঁছে গিয়েছেন রাজভবনে। বস্তুত, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জট অব্যাহত বাংলায়। এই নিয়ে রাজ্য-রাজভবন বিরোধ বেধেছে বারেবারে। সমস্যা এতই গুরুতর যে খোদ অ্যাটর্নি জেনারেলকে সমাধানে নামতে হয়েছে। আর এই ঘটনা সম্পূরণ বেনজির বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখ্য, জ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনওটিতে স্থায়ী উপাচার্য নেই। যার জেরে আচার্য সি ভি আনন্দ বোস অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। তবে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অভিযোগ ছিল তাদের না জানিয়েই আচার্য বোস এই নিয়োগ করেছেন। সেই কারণে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সংঘার ধরা পড়েছে বারংবার। এদিকে রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে অফিশিয়েটিং উপাচার্য নিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের ছ’মাসের কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তাঁরা শুধুমাত্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যেও আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত উপাচার্যহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই অবস্থার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দৈনন্দিন কাজকর্ম অনেকাংশেই ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজ্যের শিক্ষা মহলের একাংশ। এই ঘটনার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল ভেঙ্কটরমানির কলকাতায় আসা নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন শিক্ষকমহলের একাংশ।