কলকাতা: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সে কথা জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থ তাতে সম্মতিও জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি ইডির তরফে জমা করা চার্জশিটে এ কথার উল্লেখ করা হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গতকাল থেকে তা নিয়ে চলছে বিস্তর চাপানউতর। কিন্তু মেয়ের এই সিদ্ধান্তের খবর কি জানতেন মা? কোনও আঁচ ছিল মিনতি মুখোপাধ্যায়ের কাছে? এই প্রশ্ন করতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন মিনতি দিবি।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন তিনি অর্পিতার ব্যাপারে কিছুই জানেন না! তাঁর কথায়, ও দোষ করুক আর যাই করুক অর শাস্তি হোক বা যাই হোক তার কোনও ব্যাপার না। মেয়ের সন্তান দত্তক নেওয়ার কথা কী জানতেন? প্রশ্ন করতেই তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে মিনতি দেবীর জবাব, “খালি একই নোংরা কথাবার্তা। যান তো! আমি ওসব জানি না। এ সমস্ত কথাবার্তার আমি উত্তর দিতে পারব না।” ২৩ জুলাই প্রথম ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার পর থেকে কখনও ইডি হেফাজতে, কখনও জেল হেফাজতে দিন কাটছে তার। এদিকে হাতেগোনা আর কয়েকদিন পরেই দুর্গাপুজো। কিন্তু বাড়ি নেই মেয়ে। মন খারাপ করছে মায়ের?
এই প্রশ্ন শুনেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় মিনতি দেবীকে। রিপোর্টারের প্রশ্নে যে তিনি বিরক্ত হচ্ছেন তা তাঁর হাবেভাবেই স্পষ্ট হয়ে যায়। বলেন, “অর্পিতা নেই তো কী হয়েছে। আমি কী রাস্তায় বেরিয়ে গিয়েছি নাকি। এসব প্রশ্ন করে মাথা গরম করে দেয় একদম। আমার কোনও কথা বলা বারণ আছে।” পুজোয় একা থাকলে মন খারাপ করবে না? উত্তরে তিনি বলেন, “একটুও মন খারাপ লাগছে না। আমার মেয়ের উপর রাগ নেই। আমার এত প্রশ্ন ভাল লাগছে। আমার এত উত্তর দেওয়ার দরকার নেই।”
প্রসঙ্গত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে আগে জানানো হয়েছিল ২০১২ সাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল। তাঁদের দুজনের নামে এর আগে একাধিক যৌথ সম্পত্তিরও খোঁজ দিয়েছেন তদন্তকারীরা। নাম উঠে এসেছে ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস’ নামে পার্থ-অর্পিতার যৌথ মালিকানায় থাকা একটি সংস্থার। এমতাস্থায় এবার তার সন্তান দত্তক নিতে চাওয়ার খবরে নতুন করে চাপানউতর বাড়ে রাজনৈতিক মহলে।