কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে ক্রমেই সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বসিরহাটে এসপি অফিসের সামনে ধরনা চালিয়েছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সকালেও ফের টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন। সরস্বতীর মূর্তি নিয়েও রওনা দেন। কিন্তু, বাধা দেয় পুলিশ। এরইমধ্যে টাকিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। গাড়ির উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় সুকান্তকে। ধস্তাধস্তির মধ্যেই গাড়ির বনেটের উপর পড়ে যান সুকান্ত। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের গাড়িতেই বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আনা হচ্ছে কলকাতায়। চলছে অক্সিজেন। এদিকে পুরোটাই নাটক বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
খোঁচা দিয়ে শান্তনু বলেন, “সাংসদ জীবন অচিরেই শেষ হবে উপলব্ধি করে তিনি ভবিষ্যতে বোধহয় অভিনয়ের জগতে নাম লেখাতে চাইছেন। সেই জন্য একটা রিহার্সাল দিলেন। সুকান্ত মজুমদার হেলমেট ছাড়া বাইক নিয়ে মস্তানদের নিয়ে দাপাদাপি করলেন। পুলিশের গাড়ির উপর ঢিল ছুড়লেন। পুলিশকে মারধর করলেন। তারপর আমরা দেখলাম রামচন্দ্রকে রাস্তায় নামিয়ে রাজনীতি করেন। মানুষ জানে। আজকে মা সরস্বতীকে নিয়ে রাজনীতি করতেও তাঁরা পিছপা হলেন না।” এরপরই সুকান্তর অসুস্থতা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “কোথাও আমরা দেখিনি কোথায় ওনাকে ধাক্কা মারছেন, মারধর করলেন। হঠাৎ তিনি অভিনয় করতে শুরু করলেন। অভিনয় জগতে তাঁর সাফল্য কামনা করছি।”
তৃণমূলের আর এক চিকিৎসক নেত্রী শশী পাঁজাও সুকান্তকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “সুকান্ত মজুমদারকে বলব, সংগ্রাম করার মতো শারীরিক ক্ষমতা আপনার নেই। আমি চিকিৎসক হিসাবে বলছি আপনি শরীরের যত্ন নিন।”
অন্যদিকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সুকান্তর ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা যে পর্যায়ে গিয়েছে এগুলো তারই প্রতিক্রিয়া। আমাদের বিধায়কেরা, আমাদের রাজ্য সভাপতি এই আন্দোলন করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।” তাঁর দাবি, যেভাবে বাধা আসছে তার ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আজ আমাদের রাজ্য সভাপতিকে যেভাবে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে তাতে আমাদের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে। সেটা সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া চাপের হবে।”