TMCP in JU: ‘দড়ি ধরে মারো টান মাও-মাকু-নকশালরা হবে খানখান’, যাদবপুরে দাঁড়িয়েই হুঁশিয়ারি তৃণাঙ্কুরের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 16, 2023 | 5:01 PM

TMCP in JU: এদিন যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর 8-B তে ধর্ণায় বসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ছিলেন তৃণমূলের একাধিক বড় নেতৃত্ব। সেখান থেকেই এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তৃণাঙ্কুরকে।

TMCP in JU: ‘দড়ি ধরে মারো টান মাও-মাকু-নকশালরা হবে খানখান’, যাদবপুরে দাঁড়িয়েই হুঁশিয়ারি তৃণাঙ্কুরের
তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: “কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে, তারা মনে করে নতুন ছেলেমেয়েরা গ্রাম বাংলা থেকে এসে ঢুকলেই তাদের উপর অত্যাচার করা ওদের অধিকার। কারা এরা? মার্ক্সবাদী। এখনও বড় বড় কথা। এখনও বিজেপির সঙ্গে ঘর করছে। কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করছে। তৃণমূল ওদের এখনও এক নম্বর শত্রু।” কদিন আগেই যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ ভাষাতেই বামেদের আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banejee)। এবার আরও একধাপ এগিয়ে একেবারে যাদবপুরে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের বামপন্থীদের দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। 

এদিন যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর 8-B তে ধর্ণায় বসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ছিলেন তৃণমূলের একাধিক বড় নেতৃত্ব। সেখান থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংস্কৃতির’ বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণাঙ্কুরকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের সবসময়ই প্রশ্ন এটা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে সন্ধ্যা নেমে গেলে মদ, গাঁজা, চরসের আসর বসে? এটা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে হস্টেল, মেস, পিজিতে ছোট ছোট ছাত্রদের ঢোকানোর পরে চলে পাশবিক অত্যাচার? শুধু শারীরিক ব়্য়াগিং নয়, মানসিক নির্যাতনও চলে।” তবে একইসঙ্গে তাঁর এও দাবি, তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই বাড়ছে যাদবপুরে। এ প্রসঙ্গে তৃণাঙ্কুর বলেন, “গতবার যাদবপুরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রতিনিধিরা লড়েছিল। ৩১ জন ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ পেয়েছিলাম আমরা। আমরা বুঝেছিলাম অল্প কটা আসনে লড়েই আমরা এই ৩১ জন সিআরকে পেয়েছিলাম, আমাদের গ্রহণযোগ্যতা যে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে রয়েছে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল।”

এরপরই বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূলের ছাত্র নেতা বলেন, “এখানে যে মাও-মাকু-নকশালদের যে অলিখিত জোট রয়েছে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে শিক্ষক–শিক্ষিকারা ছাত্রদের ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়। এদের অনেকেই জুটার সঙ্গে যুক্ত। তাই বলছি দড়ি ধরে মারো টান মাও-মাকু-নকশালরা হবে খানখান।” প্রসঙ্গত, এরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ক্যাম্পাসে ঢুকতেই অরবিন্দ ভবনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বাম ছাত্রদের। আহতও হন বেশ কয়েকজন। 

Next Article