Bangla NewsKolkata Wb panchayat polls 2023: Can additional time be given to those who are barred from nomination in sainthia, commission will inform the court
WB Panchayat Polls 2023: সোমবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সাঁইথিয়ায় মনোনয়নে বাধাপ্রাপ্তদের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া যায় কি না, তা কমিশনের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা।
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us
কলকাতা: বীরভূমের সাঁইথিয়ার আমোদপুরে বিডিও অফিসের সামনে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি। মনোনয়নে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সোমবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সাঁইথিয়ায় মনোনয়নে বাধাপ্রাপ্তদের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া যায় কি না, তা কমিশনের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা। বিকাল পাঁচটার মধ্যে কমিশনকে তা জানাতে হবে।
KEY HIGHLIGHTS
সোমবারের সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারপতি সিনহা জানতে চান, ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়া সময়ে পেরিয়ে গেছে। এমনকি স্ক্রুটিনি দিন পেরিয়ে গিয়েছে।
বিচারপতি বলেন, “এই সময়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়।” বিচারপতি তখন মামলাকারীদের আইনজীবীদের কাছেই জানতে চান, ” ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছে থাকলে, তবে কেন শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন মামলাকারীরা?”
মামলাকারীর বক্তব্য, মনোনয়নের সময়েই বিডিও অফিসেই তাঁদের ওপর হামলা হয়। মহিলারা আক্রান্ত হন। তাঁদের আরও অভিযোগ, সঠিক সময় বিডিও অফিসে এলেও, তাঁদের কাগজপত্র নিয়ে প্রথমে অহেতুক দেরি করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে মামলাকারী বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন দুপুর তিনটের সময় তৃণমূলের একদল লোক এসে তাঁদের মারধোর করে।
রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, যিনি মামলা করেছেন, তিনি কোনও প্রার্থী নন। এটি কোনও জন স্বার্থ মামলা নয়। নঈমুদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি INSAF সর্বভারতীয় সভাপতি।
কমিশনের তরফ থেকে সওয়াল করা হয়, শিক্ষাবন্ধু-সহ আরও কিছু প্রার্থীদের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছিল। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় এসে গিয়েছে। স্ক্রুটিনি শেষ। এখন কীভাবে সম্ভব?
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী মনোনয়নে নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত, পুলিশি নিরাপত্তায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েও নির্দিষ্ট দিনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তাঁরা। বিষয়টি জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন শেষ হলেও, শুক্রবার তাঁদের আদালত পুলিশি নিরাপত্তায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেন পুলিশ সুপারের ওপর। যদিও তারপরেও ৬০ জনের মধ্যে ৩৫ জন মনোনয়ন দিতে পারেন।