কলকাতা : সপ্তাহ খানেক আগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই শিক্ষকরা ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এমনকী, প্রাথমিক টেট ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৪ সালে টেট পাশ করে চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষকের নথি জোগাড়ে পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of primary Education)। আর পর্ষদকে শিক্ষকদের সমস্ত নথি দিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের নির্দেশিকা পাঠাল।
১৬ জুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড, সমস্ত শংসাপত্র জমা করতে হবে। চাকরিপ্রাপকদের নিয়োগপত্র এবং ইন্টারভিউ ও কাউন্সেলিংয়ের চিঠিও জমা করতে হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ২০১৪ সালে চাকরিপ্রাপকদের তথ্য চাইলে তা দ্রুত তাদের হাতে তুলে দিতেই এই পদক্ষেপ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। আর ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। গত সোমবার দ্বিতীয় তালিকায় নিয়োগ হওয়া ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি, টেট ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও যায় সিবিআইয়ের হাতে। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেটে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার জন চাকরি পান। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সবার নথি জোগাড় করায় এখন প্রত্যেকেই কার্যত তদন্তের আওতায় চলে আসছেন। সিবিআই চাইলে সবার নথি খতিয়ে দেখতে পারে।