কলকাতা : আগামী বছরের মাধ্যমিকের (Madhyamik) টেস্ট পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বরের আগে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা বা থার্ড সামেটিভ শুরু করা যাবে না। আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা শেষ করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। অর্থাৎ, স্কুলগুলি টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সব মিলিয়ে সময় পাবে ১২ দিন। ১৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টেস্ট নিতে হবে স্কুলগুলিকে। শুধু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্যই নয়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্তও সামেটিভ মূল্যায়ণের একটি সময়সূচি ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সামেটিভ মূল্যায়ণ হবে মে মাসের ৭ তারিখের মধ্যে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির দ্বিতীয় সামেটিভ মূল্যায়ণ হবে ২০ অগাস্টের মধ্যে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তৃতীয় সামেটিভ মূল্যায়ণ ২৫ নভেম্বরের আগে শুরু করা যাবে না এবং তৃতীয় সামেটিভ শেষ করতে হবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে।
সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক স্কুলগুলিকে নিজেদেরই প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। প্রশ্নপত্রের একেবারে উপরে সংশ্লিষ্ট স্কুলের নাম লেখা থাকতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অধীনস্ত সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির সময় সিলেবাস এবং নম্বর বণ্টনের বিষয়গুলির উপর নজর দিতেও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সব মিলিয়ে এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, এবার ছন্দে ফিরছে স্কুল শিক্ষা। তারই একটি নমুনা হল এই শিক্ষাবর্ষে যাতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সামেটিভ পরীক্ষা নেওয়া হয়, তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোন সামেটিভ কখন হবে তার একটি গাইডলাইনও প্রকাশ করেছে পর্ষদ।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে দীর্ঘদিন স্কুলগুলির স্বাভাবিক পঠন পাঠন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। তার সরাসরি প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের উপরে। অনলাইন ক্লাস চলেছে বটে, কিন্তু তার সুফল কতজন পড়ুয়া পেয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত শিক্ষক মহল। এই পরিস্থিতিতে ফের স্কুল শিক্ষাকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে উদ্যোগী মধ্য শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? কূটনৈতিক স্তরে ভারতের অস্বস্তি বাড়ানোর অভিযোগ বিজেপির