কলকাতা: আর খুব দেরি নেই উচ্চমাধ্যমিকের। কোভিডকাঁটা পেরিয়ে অবশেষে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলছে স্কুল (School)। সোমবারই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে সেকথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা যেতে পারবে স্কুলে। সেই মোতাবেক নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
কীভাবে খুলবে স্কুল? কীভাবেই বা চলবে পঠনপাঠন? শুধু তাই নয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিকাল ক্লাসে। কারণ, কোভিড কোপে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্লাসই করতে পারেনি পড়ুয়ারা। প্র্যাকটিক্যাল তো দূরের ব্যাপার। অথচ,উচ্চমাধ্যমিকে প্র্যাকটিকালে একটা বড় শতাংশ নম্বর ধার্য করা হয়। ফলে পড়ুয়াদের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাস সমান গুরুত্বপূর্ণ।
নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার বিধিনিষেধ মেনে সুষ্ঠু ভাবে যাতে স্কুল খোলা যায়, তার জন্য এক জন করে নোডাল অফিসার মনোনীত করতে হবে। তাঁরা প্রশাসন ও স্কুলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন। রাজ্য সরকারের তরফে এই নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার এএন বিশ্বাস।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে স্কুল। সেদিন থেকেই স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল যেতে পারবে পড়ুয়ারাও। চাইলে খোলা যাবে হস্টেলও। তবে সে বিষয়ে আলাদা করে কোনও ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, স্কুলে কোভিড বিধি মানা বাধ্যতামূলক। আগে প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারিত হয়েছিল। তবে, এ বার সেভাবে কোনও আলাদা সময় ধার্য করা হচ্ছে না। একসঙ্গেই সকল পড়ুয়া আসতে পারে স্কুলে।
একই সময়ে অষ্টম ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য খুলবে স্কুল। নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগে পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছতে হবে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য আপাতত ‘পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা’। অন্যদিকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েরও পঠনপাঠন শুরু হবে ৩ তারিখ থেকে অফলাইনেই।
উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য সরকার পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি শুরু করছে। এই পাড়ায় শিক্ষালয় কথাটির নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, পড়া ও লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন নাচ, গান, আবৃত্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত রাজ্যের ৫০ হাজার ১৫৯ টি প্রাথমিক স্কুলে এবং ১৫ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। মোট ২ লাখেরও বেশি শিক্ষক থাকছেন এই ব্যবস্থায়। এর মাধ্যমে ৬০ লাখেরও বেশি পড়ুয়া উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।