কলকাতা: ইতিমধ্যে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর উপরে অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। বুধবার সন্ধ্যেবেলা পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর উপর আরও দুর্বল হয়ে আগামিকাল সকালে গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে।
তবে আশার আলো, এর কোনও সরাসরি প্রভাব নেই আমাদের রাজ্যে। তবে আজ এবং আগামিকাল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। শুধুমাত্র দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ,নদিয়াতে বিক্ষিপ্ত অথবা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যার জেরে মৎস্যজীবীদের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে বেশি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের রাজ্যগুলিতে। এর মূলত কারণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ প্রচুর বাতাস প্রবেশ করছে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে ১১ থেকে ১৫ মিলিমিটার মাঝারি বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি জেলা যেমন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ,আলিপুরদুয়ার, ও কোচবিহার।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে আজ ও কাল তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। কিন্তু দু’দিন পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টি চলবে তাই তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইবে প্রবল হাওয়া। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে এই ঝড়- বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালেই অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূল ধরে এগিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বস্তুত, দুপুর ২ টোর রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরী থেকে ৬২০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। গোপালপুর থেকে দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার, বিশাখাপত্তনম থেকে দূরত্ব ২৭০ কিলোমিটার, মছলিপত্তনম থেকে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার ও কাঁকিনাড়া থেকে দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার।