কলকাতা: দুয়ারে কড়া নাড়ছে বর্ষা। এর মধ্যেই এবার মরসুমের ষষ্ঠ কালবৈশাখী (Kalboisakhi) আছড়ে পড়ল তিলোত্তমার বুকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন শহর কলকাতার (Kolkata) উপর দিয়ে প্রায় ৫৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে বয়ে যায় বিধ্বংসী কালবৈশাখী। তবে এ গতিবেগ কালবৈশাখীর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে সপ্তাহ তিনেক আগে যে চতুর্থ কালবৈশাখীর দেখা মিলছিল তার গতিবেগ দেখেও অবাক হয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। মরসুমের প্রথম তিনটি কালবৈশাখীর গতিবেগ যেখানে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল, চতুর্থটি সেখানে বাঁধ ভাঙা রেকর্ড করে। কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে যায় ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া।
ওই বিধ্বংসী ঝড়ে দীর্ঘক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের যান চলাচল। একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়ে গাছ। এদিকে এদিনের কালবৈশাখীর জেরে ব্যাহত হয় কলকাতার বিমান পরিষেবাও। ঝড়ের কারণে মাঝ আকাশেই দীর্ঘক্ষণ চক্কর কাটে চার চারটি বিমান। কালবৈশাখীর দাপটেই নির্ধারিত সময়ের পর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে পারেনি বিমানগুলি। তাতেই উদ্বেগ বাড়ে যাত্রীদের মধ্যে। এর মধ্যে দুটি বিমান স্পাইস জেটের, বাকি দুটির মধ্যে একটি ইন্ডিগো ও আর একটি এয়ার এশিয়ার বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্য়েই বঙ্গের মাটিতে পা রেখেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে বর্ষার দাপট। আগামী ৫ দিন উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কমবে তাপমাত্রার পারা। অন্যদিকে ১৬ তারিখ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশেও দিনভর ডানা মেলতে শুরু করবে ঘনকালো মেঘের দল। পাকাপাকি ভাবে ঘাঁটি গাড়বে বর্ষা। সহজ কথায়. ওই দিনই দক্ষিণবঙ্গের মাটিতে পাকাপাকি ভাবে আগমণ ঘটতে চলেছে বর্ষার। তার আগে কালবৈশাখীর দাপট নজর কাড়ছে সকলেরই।