কলকাতা: ঘূর্ণিঝড়-কাঁটা সরতেই ফিরল হেমন্তের ছোঁয়া। একদিনে ২.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমল কলকাতায়। গতকাল আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.১ ডিগ্রি। তবে এই তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। চলতি মরসুমে ঠান্ডার পারফরম্যান্স একেবারে ভাল নয়। শীত এমনিতেই অনেক দূরে, কিন্তু হেমন্তের স্বাভাবিক পারদপতনও এ বার অধরা বাংলায়। আগামী ক’দিনে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে, কিন্তু হু হু করে পারদ নামার আশা কম।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল। ভোরের দিকে শরীরের কাঁপুনি ধরাচ্ছিল হাওয়া। একটা স্যাঁতস্যাঁতে ব্যাপারও ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে তার প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে, সে ব্যাপারে কিছু নিশ্চিত বলা যাচ্ছিল না। বিকালের পর আবহাওয়াবিদরা স্পষ্ট করে দেন, মিধিলির প্রভাব বাংলায় সেভাবে পড়বে না।
বিকালের দিকেই বাংলাদেশ উপকূলেই ল্যান্ডফল হয় মিধিলির। বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় মিধিলির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে বাংলায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট কমতে থাকে। কালে বিক্ষিপ্তভাবে উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, নিম্নচাপের জেরে বাংলায় নভেম্বরের শেষের দিকে যে শীত থাকে, তা আর লক্ষ্য করা যাচ্ছিল না। ঘূর্ণিঝড়-কাঁটা সরতে শুক্রবার রাতেই ২ ডিগ্রি পারদ পতন হয়। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ডিসেম্বর আসতে চলল। এখনও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার কোনও পূর্বাভাস নেই। ডিসেম্বর থেকেই ঠান্ডা মেজাজে ফিরতে পারে। তবে এর মধ্যে যদি না আর কোনও বৃষ্টির তর্জন-গর্জন শুরু হয়! না হলে নিম্নচাপের গেঁরোয় ফের আটকে যেতে পারে পারদ পতন।