কলকাতা: বিদায় বেলায় শীত। তার আগে এক অন্য খেলায় আবহাওয়া। সোমবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে শহর। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম। ৫০ থেকে ১০০ মিটারের দূরের জিনিসও দেখা দায়! কিন্তু কেন এতটা কুয়াশা? আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বাতাসে জলীয় বাস্প জন্য দায়ী। বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। বাতাসে বাড়তে থাকা জলীয় বাস্প, অন্যদিকে হাওয়ার গতিও প্রায় ছিল না। ফলে জলীয় বাস্প ঠেলে বের না করায় কুয়াশা জমছিল। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে রবিবারের চেয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রবিবার থেকে বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির সেরকম পূর্বাভাসও দেননি আবহাওয়াবিদরা।
কুয়াশার জন্য সোমবার সকাল থেকে একটা শিরশিরে ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। মাফলার ছাড়া রাস্তায় বের হলে মনে হচ্ছে, কানের পাশ দিয়ে শিরশিরে হাওয়া বইছে। তাতে অনেকেরই মনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি শীতের প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে তার উত্তর। শীত ফিরে আসার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং এখন শীত বিদায়ের পালা। তবে তাপমাত্রা হেরফের হতেই পারে।
সোমবার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার সর্বোচ্চ তামমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। তবে শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা কুয়াশায় ঢাকা থাকায় সমস্যায় পড়়তে হচ্ছিল গাড়ির চালকদের।
দৃশ্যমানতা কম থাকায়, লোকাল ট্রেনও চলছে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে পিছিয়ে। সকালে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় কুয়াশার কারণে প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলে দেরিতে চলছে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন। পণ্যবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে।
ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় বন্ধ ফেরি সার্ভিসও। কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর ও চুঁচুড়ার ফেরি বন্ধ রয়েছে সকাল থেকে। চার হাত সামনে কী রয়েছে, তা দেখাই যাচ্ছে না। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে গঙ্গাপারের ফেরিঘাটগুলো। বেলা বাড়লেও এখনও শুরু হয়নি ফেরি সার্ভিস। সমস্যায় নিত্য যাত্রীরা।
রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কুয়াশা কেটে যাবে। বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: ‘কল্যাণ পুরানো সংগঠক, খুব ভাল কাজ করেছে’, বেফাঁস মন্তব্যের পরেও দলের গুডবুকে কল্যাণ