কলকাতা: গত কয়েকদিনে উত্তরের আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হয়েছে। যেভাবে পাহাড় জুড়ে ধস নেমেছে, তা সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন এলাকার মানুষ। এখনও শান্ত হয়নি তিস্তা। আগামী তিন দিন ধরে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি হতে পারে আরও উদ্বেগজনক। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস বলছে, আজ রবিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। ২০ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি সম্ভাবনা রয়েছে। ভূমিধসের সম্ভাবনাও বাড়ছে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ।
সিকিম ও দার্জিলিং-এ এখনও দেখা যাচ্ছে বিপর্যয়ের ছবি। ধূপগুড়িতে জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে বাশের সাঁকো। ফলে দুই ব্লকের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েত ও ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়ারঝোড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই বাঁশের সাঁকো।
জলঢাকা, ডুডুয়া, গিলান্ডি, বামনী নদীতে এখনও বাড়ছে জল। শনিবারও রাতভর হয়েছে বৃষ্টি, যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।
আগামী তিনদিন উত্তরবঙ্গের বাদবাকি জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে, তিনদিন পর থেকে উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দিনাজপুরে বৃষ্টি খানিকটা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে ১৬ থেকে ১৭ তারিখ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমে জেলাগুলিতে। ১৮ থেকে ১৯ তারিখ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। পশ্চিমে জেলাগুলিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই বৃষ্টির পরে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে দক্ষিণবঙ্গে, এমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী ৪-৫ দিনের উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দুই দিনাজপুরে বর্ষা আরও এগোবে।