কলকাতা: আগামী এক দু’ঘণ্টার মধ্যে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় আগামী এক থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গাতেও।
বর্ষা বিদায়ের সময় হয়ে গেলেও ১৪ অগস্ট ও ১৫ অগস্ট রাজ্যের একাধিক জায়গায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের জন্য কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই জেলাগুলিতে বাড়তে পারে নদীর জলস্তর। বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় জল জমতে পারে বিভিন্ন জায়গায়। ধস নামতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে।
১৪ অগস্ট শনিবার
ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলার বেশিরভাগ জায়গায়। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি মালদা ও উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু এলাকায়। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে।
১৫ অগস্ট রবিবার
ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি দু এক জায়গায়। ১০০ মিলি মিটার পর্যন্ত বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের দু-এক জায়গায়।
এ বছর বর্ষার পুরো মরসুম জুড়েই ভিজেছে বাংলা। এর সঙ্গে জোড়া ফলার মতো কাজ করেছে নিম্নচাপ। বাংলার বিভিন্ন জেলা প্লাবিত হয়েছে বর্ষার জলে। হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরের ঘাটাল একেবারে জলমগ্ন। মাঝের দু’দিন বৃষ্টি না হওয়ায় জল কিছুটা নামলেও আবারও বৃষ্টি হলে ফের বিপাকে পড়তে হবে এলাকার মানুষকে। ইতিমধ্যেই উদয়নারায়ণপুর, ঘাটাল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জলযন্ত্রণার কারণ ‘ম্যান মেড’ বলেই দাবি করেছেন। একদিকে ডিভিসির জল ছাড়া, অন্যদিকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানকে অনুমোদন না দেওয়ার কারণে বাংলার মানুষকে এতটা ভুগতে হয় বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাল্টা বিজেপির তরফে দাবি তোলা হয়েছে, ১০ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও কলকাতাকে কেন ভাসতে হয় আগে তার জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন। একই সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে ডিভিসি জল ছাড়ে না। তাই কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে খুব একটা সুবিধা হবে না। এসব রাজনৈতিক কচকচানির মধ্যে অবশ্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই। আরও পড়ুন: সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার টিকাকরণ! আজই রাজ্যে আসছে ৭ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ডের ডোজ়