সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার টিকাকরণ! আজই রাজ্যে আসছে ৭ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ডের ডোজ়
COVID-19: শুক্রবারই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে কেন্দ্রের তরফে 'ইন্ডিয়া কোভিড-১৯ এমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড হেলথ সিস্টেম প্রিপেয়ার্ডনেস প্যাকেজ'-এর দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: এই মুহূর্তে রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঠিকই। তবে পরিস্থিতি যে কোনও সময়ই আবারও হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পড়ন্ত হলেও তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা কিংবা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে উদ্বেগের কারণ হচ্ছে। বিপদের সঙ্গে যুঝতে একমাত্র টিকাকরণই হাতিয়ার হতে পারে বলে দাবি চিকিৎসকদের। কিন্তু এই টিকা নিয়ে বাংলার তরফে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে, কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা পাঠাচ্ছে না। ফলে টিকাকরণের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে খানিক স্বস্তি। শনিবার ফের রাজ্যে আসছে ৭ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ়। পুণে থেকে এই টিকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজ্যে ৭ লক্ষ ১৫ হাজার ডোজ় ভ্যাকসিন এসে পৌঁছয়। এর মধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুই-ই ছিল। কোভিড থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় টিকাকরণ। চিকিত্সক থেকে বিজ্ঞানী, সকলেই একমত। কিন্তু গত কয়েকদিন টিকার ঘাটতির কারণে উদ্বেগ বেড়েছে। মাঝে বেশ কিছুদিন কোভ্যাক্সিন টিকা মেলেনি রাজ্যে। শুধু কোভ্যাক্সিনই নয়, কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রেও রীতিমত কাড়াকাড়ি চলছে। প্রাণঘাতী করোনার প্রতিষেধক পেতে মাঝ রাত থেকে হাসপাতালে লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তারপরও টিকা ছাড়াই ফিরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এদিকে শুক্রবার রাজ্যে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৩৯ জন। বৃহস্পতিবার যা ছিল ৭৪৭। অন্যদিকে শুক্রবার মৃত্য়ু হয়েছে ৮ জনের। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ১০।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৯ জন। একই সময়ের মধ্যে সেরে উঠেছেন ৭৪৯ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ জন কমে হয়েছে ১০ হাজার ১০৯। সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৫ হাজার ৪৪২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গোটা রাজ্যে। যার মধ্যে ১.৬৩ শতাংশ মানুষ পজিটিভ ধরা পড়েছেন।
শুক্রবারই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে কেন্দ্রের তরফে ‘ইন্ডিয়া কোভিড-১৯ এমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড হেলথ সিস্টেম প্রিপেয়ার্ডনেস প্যাকেজ’-এর দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের গ্রামীণ ও জেলাস্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতির জন্য় কেন্দ্রের তরফে এই টাকা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দফা গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচের ঘোষণা করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৮২৭.৮০ কোটি টাকা গত ২২ জুলাই রাজ্যগুলিকে পাঠানো হয়। এই তহবিলেরই দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩৫ শতাংশ দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। এখনও অবধি রাজ্যগুলিকে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি অনুদান দেওয়া হল করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই; কবে, কোথায় মিলবে কার্ড রইল বিস্তারিত