কলকাতা: নিম্নচাপ কাটলেও গত দু’দিন ধরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি নিম্নচাপের রেশ এখনও কাটেনি? উত্তর দিল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা এখনও এ রাজ্যের উপর দিয়ে যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার উপর দিয়ে যাচ্ছে এই অক্ষরেখা। সে কারণে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত চলবেও বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ায়। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূ্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার অবধি এই বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। তবে ২৫ অগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ দক্ষিণবঙ্গে কমবে।
২৭ অগস্ট অর্থাৎ শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টি বাড়বে উত্তরের একাধিক জেলায়। তবে তার আগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না এই ক’দিন। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা দিঘার উপর দিয়ে গেছে, তাই দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে।
সম্প্রতি নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভোগান্তির ছবি দেখা গিয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলের জেলাগুলি। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে একাধিক গ্রাম। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির প্রায় শতাধিক গ্রাম জলের তলায় ছিল। ভেসে যায় একাধিক বাড়ির ছাদ। বহু মানুষকে জলবন্দি হয়ে থাকতে হয়। খেজুরির পাচুরিয়া, নোনাপোতা, নিচকশবার মত গ্রামগুলিতে চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হয়েছে মানুষকে। ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষের জমি। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দেখা গিয়েছে। শুক্রবার রাতভর ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে। কেঁদো দ্বীপের কাছে ট্রলারডুবিও হয়েছে।