কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা প্রবেশ করবে? এখনই স্পষ্টভাবে কোনও কিছু জানাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৪ জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ নিয়ে এখনই কোনও পূর্বাভাস দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়ছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। এরই মধ্যে আবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত পশ্চিমের চার জেলা অর্থাৎ, বীরভূম ,পশ্চিম বর্ধমান ,পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার বিকেলের পর থেকে আবহাওয়ায় কিছুটা বদল আসতে পারে।
গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জেলায় জেলায় তীব্র গরমে অস্বস্তি ছড়িয়েছে। আগামিকালও দক্ষিণবঙ্গে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। পাশাপাশি একাধিক জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ ও কিছু জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
আগামিকাল দক্ষিণের কোনও জেলাতেই তেমনভাবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে বুধবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ায় কিছু বদল আসতে শুরু করে করবে। দক্ষিণের বেশ কিছু জেয়াল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বুধবার। এরপর বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া।
শহর কলকাতার ক্ষেত্রেও আগামিকাল (মঙ্গলবার) আর্দ্রতাজনিত কারণে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশ বজায় থাকবে। বুধবার বিকেলের পর থেকে আবহাওয়ার কিছুটা বদল আসবে কলকাতার আকাশে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।
একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি, তখন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একেবারে উত্তরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে দমকা হাওয়াও বইতে পারে।