কলকাতা: কোচবিহার থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে পরাস্ত করেছে তৃণমূল। আর তারপরই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলা থেকে জোড়াফুল শিবিরের টার্গেট বানিয়ে ফেলেছেন উদয়ন গুহ। কোচবিহার জেলায় মোট ৯টি বিধানসভা আসন রয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের সব ক’টি বিধানসভা আসনেই সবুজ আবির ওড়ানোর টার্গেট নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উদয়ন গুহ বলেন, “৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আমাদের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছি। এবারে আমাদের টার্গেট শুধু কোচবিহারের রেজাল্ট ধরে রাখা নয়, বিধানসভায় কোচবিহার জেলা থেকে নয়ে নয় করতে হবে। এখনও পর্যন্ত যা কোচবিহার থেকে কোনও দল করতে পারেনি।”
উল্লেখ্য, কোচবিহারের রাজনীতিতে নিশীথ প্রামাণিক ও উদয়ন গুহ ঠোকাঠুকি কারও অজানা নয়। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে। দুই দিক থেকেই ধেয়ে এসেছে একের পর এক বাক্যবাণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিশীথকে পরাস্ত করেছেন তৃণমূলের জগদীশ বসুনিয়া। এবার লোকসভা ভোটে কোচবিহারের হারানো দুর্গ পুনরুদ্ধারের পরই নতুন টার্গেট স্থির করে ফেললেন উদয়ন গুহ। গোটা কোচবিহার জেলা জুড়ে সবুজ আবির ওড়ানোর টার্গেট উদয়নের।
কোচবিহার জেলায় মোট ৯টি বিধানসভা আসন রয়েছে। কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা, দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জ। একুশের বিধানসভা ভোটে বেশিরভাগ জায়গাতেই গেরুয়া আবির উড়েছিল। এবার সেই পরিস্থিতি বদলানোই টার্গেট উদয়ন গুহর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “২০১৯ সালে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। এরপর আমরা ২০২১ সালকে সামনে রেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম। তখন দিদিকে বলো কর্মসূচি অনেকটাই সাহায্য করেছিল আমাদের হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে।”
দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কের আরও সংযোজন, “হয়ত ভোটের আসনের দিক থেকে কোচবিহারে আমরা কম পেতে পারি। কিন্তু কর্মীদের অনেকের ঘরে বসে যাওয়া, দুর্বল হয়ে যাওয়া, সেই জায়গা থেকে কর্মীরা মাঠে নামাতে এই কর্মসূচি আমাদের অনেকটা সাহায্য করেছিল। পরবর্তীকালে অভিষেকের সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছিলকোচবিহার দিনহাটা থেকে। তার লাভ আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে পেয়েছি। এই লোকসভা নির্বাচনেও সেটা আমরা ধরে রাখতে পেরেছি।