কলকাতা: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা। বিকাল হতেই ঘনিয়ে এসেছে মেঘ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া আর ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি। সোমবার কলকাতাতেই শুধু বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৬ মিলিমিটার। কলকাতা-সন্নিহীত এলাকাগুলিতে কালবৈশাখীও হয়েছে। উল্টোডাঙার কাছাকাছি জল জমেছে। কিন্তু ঘটনা হল, এত্ত কিছুর পরেও মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের ঘামে নাকানিচোবানি অবস্থা শহরবাসীর। কপাল থেকে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে নাকে, আর অটো কিংবা বাসের লাইন, ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে ভিজছে সর্বাঙ্গ। আম আদমির মনে একটাই প্রশ্ন, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে বটে। কিন্তু আদৌ বর্ষা ঢুকবে কবে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কোনও ইঙ্গিতই নেই। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজ কোথায় কোথায় কতটা বৃষ্টি হবে সেটা এখনই স্পষ্ট হয়।
তবে হাওয়া অফিসের বুলেটিন বলছে, বিকালে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবেই। । বেলা গড়াতেই পারদ চড়েছে তিলোত্তমায়। সোমবারই কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।
ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। ১৩ জুনের মধ্যে বর্ষা ঢুকেছে বটে, কিন্তু মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও গরম কমবে না। বরং তাপপ্রবাহেরই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। ইতিমধ্যেই সাগর থেকে দখিনা-পশ্চিমী বাতাস উত্তরবঙ্গে পৌঁছনো শুরু হয়েছে। সেই বাতাস দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়েই যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামিকাল সেই বৃষ্টি আরও বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোথাও ভারী বৃষ্টি কোথাও বা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশে।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।