কলকাতা: ভরা মাঘেও শীতের আরাম নেই। বৃহস্পতিবার সকালেও মুখ ভার আকাশের। শিরশির করে বইছে হিমেল হাওয়া। তবে কী ছন্দে ফিরছে শীত? হাওয়া অফিস বলছে, শীত (winter) ফিরছে ঠিকই, কিন্তু ধীর গতিতে। তবে কতদিন শীতের আনাগোনা তা নিয়ে ধন্দ থাকছে। মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোয় ফের বৃষ্টির (rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে ফিরছে শীত। ধীর গতিতে আসা শীত আপাতত বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে। কিন্তু, কতদিন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আরও একটি ঝঞ্ঝার কোপে ও বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা মোড়া কুয়াশায়। বেলা বাড়লে রোদের দেখা মিলতে পারে। তবে এদিন সারাদিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। শুক্রবারও তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হবে না। তিন দিনে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। সপ্তাহান্তে থাকবে জমিয়ে শীতের আমেজ।
এ বছরের শীতের মরসুমে ক্রমেই বিষবায়ু হয়ে উঠছে কলকাতার বাতাস। পরিবেশবিদরা বলছেন ক্রমেই খারাপ হচ্ছে শহরের আবহাওয়া। বাতাসের একিউএ -র (AQA) মান কলকাতায় ক্রমেই নিম্নমুখী বলে দাবি করেছেন পরিবেশবিদরা। ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্র সরোবর, যাদবপুর,ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতার একাধিক জায়গার বাতাসে একিউএর মান রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে। বাতাসের গুণগত মান এতটাই খারাপ যে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন দিল্লি দূষণের সঙ্গেও টেক্কা দিতে পারে কলকাতা। ফলে, শীতের কলকাতায় বাতাসে ধোঁয়াশার পরিমাণ বাড়ছে।
বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ বলছে, বঙ্গে বারবার এভাবে আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে জলবায়ুতেও। যার জেরে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ বাড়বে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিন জেলায় রয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও। খরা দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়। গোটা রাজ্যেই হতে পারে অতিবৃষ্টিও।
আরও পড়ুন: Ritesh Tiwari’s tweet: ‘ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও টুইট মালব্যর বঙ্গ বিজেপি অসাধারণ!’
আরও পড়ুন: COVID Bulletin: লাগাতার ৩ দিন! রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৫ হাজারের কম