Weather Updates: এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা , আগামী ২ ঘণ্টায় ১৪ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 04, 2022 | 7:30 AM

Kolkata: আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে

Follow Us

কলকাতা: কমছে শীতের আয়ু। একধাক্কায় ফের ৪ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা। মাঝেমধ্যেই বইছে ঝোড়ো বাতাস। শুক্রবার সকালের আকাশে রোদের বদলে কালো মেঘের দেখা। এক-দুইটি নয়, মোট ১৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির (Rainfall) পূর্বাভাস জানিয়েছে,  আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিন থেকেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির (massive Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও হতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস বলছে, পিছু হটতে পারে শীত। ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে । শনিবারও (৫ ফেব্রুয়ারি) উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও দুই ডিগ্রি বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

শুক্রবার, কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে শুক্রবার থেকেই প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প প্রবেশ করবে। যার জেরে সপ্তাহান্তেও চলবে বৃষ্টি। কলকাতাতেও  মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হবে। সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। তবে শীত থিতু হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।

আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া ,মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলির মতো কিছু জায়গায় বেশি বৃষ্টি হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি আবার কমে যাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।

এদিকে, কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশের দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা যেমন বাগুইআটি, কেষ্টপুর, সল্টলেক, রাজারহাট-নিউটাউন, বিশ্ববাংলা সরণিতে গাড়ির আলো জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলে যান চলাচল। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান চলাচলের ওপর খানিকটা প্রভাব পড়ে।  ধীর গতিতে ওঠা-নামা করছে বিমান। কৃত্রিম আলো ক্যাটের ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিমান চলাচল পরিষেবা খানিকটা বিলম্বিত হতে পারে বলে খবর।

জানুয়ারির শেষে ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং উপভোগ করেছে বাংলা। শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রবিবারও অব্যাহত ছিল পারদ পতন। সোমবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। তবে, বৃহস্পতিবার থেকে বদলাতে শুরু করে তাপমাত্রা।

আশঙ্কা, আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার জন্য বিপদের বঙ্গের জলবায়ু। নতুন বছরে লেগেই থাকতে পারে, অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ সে সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গোটা রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খরার বিপদ দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়।

কলকাতা: কমছে শীতের আয়ু। একধাক্কায় ফের ৪ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা। মাঝেমধ্যেই বইছে ঝোড়ো বাতাস। শুক্রবার সকালের আকাশে রোদের বদলে কালো মেঘের দেখা। এক-দুইটি নয়, মোট ১৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির (Rainfall) পূর্বাভাস জানিয়েছে,  আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিন থেকেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির (massive Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও হতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস বলছে, পিছু হটতে পারে শীত। ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে । শনিবারও (৫ ফেব্রুয়ারি) উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও দুই ডিগ্রি বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

শুক্রবার, কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে শুক্রবার থেকেই প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প প্রবেশ করবে। যার জেরে সপ্তাহান্তেও চলবে বৃষ্টি। কলকাতাতেও  মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হবে। সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। তবে শীত থিতু হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।

আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া ,মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলির মতো কিছু জায়গায় বেশি বৃষ্টি হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি আবার কমে যাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।

এদিকে, কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশের দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা যেমন বাগুইআটি, কেষ্টপুর, সল্টলেক, রাজারহাট-নিউটাউন, বিশ্ববাংলা সরণিতে গাড়ির আলো জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলে যান চলাচল। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান চলাচলের ওপর খানিকটা প্রভাব পড়ে।  ধীর গতিতে ওঠা-নামা করছে বিমান। কৃত্রিম আলো ক্যাটের ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিমান চলাচল পরিষেবা খানিকটা বিলম্বিত হতে পারে বলে খবর।

জানুয়ারির শেষে ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং উপভোগ করেছে বাংলা। শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রবিবারও অব্যাহত ছিল পারদ পতন। সোমবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। তবে, বৃহস্পতিবার থেকে বদলাতে শুরু করে তাপমাত্রা।

আশঙ্কা, আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার জন্য বিপদের বঙ্গের জলবায়ু। নতুন বছরে লেগেই থাকতে পারে, অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ সে সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গোটা রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খরার বিপদ দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়।

Next Article