কলকাতা: জাঁকিয়ে পড়েছে। বাতাসে হিমেল শিরশিরানি ভাব বেশ ভালই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু কতদিন স্থায়ী হবে এই শীত (Winter)? আবার বৃষ্টি হবে না তো? না, বৃষ্টির আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিদরা। মাসের শেষে ফের হতে পারে বৃষ্টি।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আপাতত, কোন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, তা নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা। শুক্রবার থেকে আগামী দুই দিন অর্থাৎ ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা। কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলায় পারদ নামতে পারে ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে, বেশ জাঁকিয়েই অনুভূত হবে শীত।
ধীর গতিতে আসা শীত আপাতত বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে। কিন্তু, কতদিন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আরও একটি ঝঞ্ঝার কোপে ও বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোয় ফের বৃষ্টির (rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার কলকাতার আকাশে কুয়াশার প্রভাব কম। সকাল থেকেই দেখা মিলেছে নরম রোদের। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। শুক্রবার থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা কোনও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই।
এ বছরের শীতের মরসুমে ক্রমেই বিষবায়ু হয়ে উঠছে কলকাতার বাতাস। পরিবেশবিদরা বলছেন ক্রমেই খারাপ হচ্ছে শহরের আবহাওয়া। বাতাসের একিউএ -র (AQA) মান কলকাতায় ক্রমেই নিম্নমুখী বলে দাবি করেছেন পরিবেশবিদরা। ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্র সরোবর, যাদবপুর,ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতার একাধিক জায়গার বাতাসে একিউএর মান রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে। ফলে, শীতের কলকাতায় বাতাসে ধোঁয়াশার পরিমাণ বাড়ছে।
বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ বলছে, বঙ্গে বারবার এভাবে আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে জলবায়ুতেও। যার জেরে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ বাড়বে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিন জেলায় রয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও। খরা দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়। গোটা রাজ্যেই হতে পারে অতিবৃষ্টিও।
আরও পড়ুন: Ritesh Tiwari’s tweet: ‘ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও টুইট মালব্যর বঙ্গ বিজেপি অসাধারণ!’