কলকাতা: কতটা পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করছে ইডি বা সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি? আরও একবার সে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই উপলক্ষে বিধাননগর মেলা প্রাঙ্গনে ক্যাম্প হচ্ছে। সেখানেই থাকবেন জেলা থেকে আসা দলীয় কর্মী সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার তা দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে দাঁড়িয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইডি, সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মলয় ঘটকদের বারবার ডাকলেও, সারদাকর্তার ‘চিঠি’তে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হচ্ছে না এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এজেন্সি ডাকছে কারণ এজেন্সিকে দিল্লি থেকে বলা হচ্ছে। আমি তো বারবার বলেছি, সিবিআই যে নিরপেক্ষ, ইডি যে নিরপেক্ষ, তার তো প্রমাণ দিতে হবে। যেখানে সুদীপ্ত সেন বলছেন, ‘আমি শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছি।’ সিবিআই তখন দেখতে পায় না। আরে গ্রেফতার করা ছেড়ে দিন একবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি।”
বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। কয়লাকাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডীর বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। এ প্রসঙ্গ তুলে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” মলয় ঘটককে ডাকছে বা বাঘমুণ্ডীর বিধায়ককে ডাকছে কেন? কয়লা যদি চুরি গিয়ে থাকে, দায়িত্ব কার? ইসিএল কর্তাদের, কোলিয়ারি যে গার্ড করে সিআইএসএফ। আপনার বাড়িতে যদি আসবাবপত্র চুরি যায়, আপনি দারোয়ানকে ধরবেন, নাকি পাশের বাড়ির লোককে ধরবেন? যে গার্ড করছে তাকে ধরুন। তৃণমূল কংগ্রেস যাতে প্রতিবাদ না করে। আরে যত ইডি, সিবিআই দেখাবেন, আমাদের আন্দোলনের ভাষা তত তীব্রতর হবে। তত মানুষের জনসমর্থন বাড়বে। তত আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব।”
গত দেড় বছর ধরে এই ধরনের ডাকাডাকি চলছে বলে এদিন উল্লেখ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেও ডাকা হয়েছে, তিনিও গিয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করেই অভিষেক বলেন, “সিবিআইয়ের সামনে দেড় বছর আগে একটা লোক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি লিখে জানাল, কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদেরও বলেছেন, ‘আমি ফেরার হওয়ার আগে কোটি কোটি টাকা শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে গেছি।’ সেখানে আরও তিন চারজনের নাম নিয়েছে, আমি নাম করছি না। সবাইকে ডাকুক। শুধু তৃণমূল থেকে কেন ডাকতে হবে? তৃণমূল এদের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি, মেরুদণ্ড বিক্রি করেনি বলে?”