কলকাতা: কল্যাণী এইমসে (AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। সেই অভিযোগে মঙ্গলবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে। সিআইডি তাঁকে তলব করে। সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়ক। এর আগেও নীলাদ্রিশেখর দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। বাঁকুড়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে মেয়ে মৈত্রী দানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।
নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণী এইমসে নিয়োগ করান তিনি। তাঁর মেয়ে মৈত্রী দানা কল্যাণী এইমসের কর্মী। এ বছরই চাকরি পান মৈত্রী। এখানেই অভিযোগ, মেয়েকে নিজের পদের জোরে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বিধায়ক বাবা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভবানীভবন তদন্ত শুরু করে। এরপরই নীলাদ্রিশেখর দানাকে ডেকে পাঠায় সিআইডি।
কল্যাণী এইমসে গ্রুপ ডি-তে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করেন মৈত্রী দানা। চলতি বছর ১ এপ্রিল কাজে যোগ দেন তিনি। সূত্রের খবর, মাসিক বেতন পান ৩০ হাজার টাকা। অভিযোগ, মৈত্রী কোনও নিয়োগের পরীক্ষা দেননি। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুর্শিদাবাদের এক চাকরি প্রার্থী কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তভার পায় সিআইডি। দু’বার মৈত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
এইমসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিআইডি কেন, প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি করে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়। যদিও প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি তদন্তেই আস্থা রাখে।
এদিন ভবানী ভবনে ঢোকার মুখে নীলাদ্রিশেখর দানাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাত জোর করে বারবার বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, “আমার কিছু জানা নেই। শুভ বিজয়া। যা হবে পরে হবে। এখন সামনে দীপাবলি আছে। খুব মজা করুন।”