কলকাতা: যেদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়, সেদিন সকালেও গাড়ির চাবি নিতে ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন প্রণব ভট্টাচার্য। তিনি অর্পিতার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। সেদিন সকালের অভিজ্ঞতা টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন নিজেই। একইসঙ্গে তিনি জানান, সেদিন প্রথম থেকে মনে হয়েছিল টাকাপয়সা সংক্রান্ত কিছু একটা চলছে। তবে তা যে এতটা ভয়ঙ্কর, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তা তিনি বুঝতে পারেন। টেলিভিশনের পর্দায় দেখেন, অর্পিতার টালিগঞ্জ ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মুঠো মুঠো নগদ টাকা।
প্রণবের দায়িত্ব ছিল অর্পিতাকে তাঁর কসবার ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অফিস কিংবা নেল পার্লারগুলিতে নিয়ে যাওয়া। যেদিন যেমন ‘ম্যাডাম’ বলতেন, সেইমতো টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে গিয়ে গাড়ির চাবি নিতেন প্রণব ভট্টাচার্য। বহুদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও অর্পিতাকে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে এসেছেন তিনি।
এরইমধ্যে গত শুক্রবার ২৩ জুলাই, যেদিন ইডি অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি চালায়, সেদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন প্রণব। তিনি বলেন, “আগের দিনও আমি ডিউটি করে এলাম। ম্যাডাম পার্লার গেলেন। এরপরই গাড়ি রেখে বাড়ি চলে আসি। পরদিন যখন ডিউটি জয়েন করি, প্রায় সাড়ে ১১টা। দেখি কিছু লোক বসে আছে। বুঝিনি ওনারা ইডির লোক। আমাকে বলল ভিতরে আসতে। গিয়ে বসলাম। তারপরই ধীরে ধীরে বুঝলাম তল্লাশি চলছে।”
অর্পিতার ব্যক্তিগত গাড়ির চালকের কথায়, “আমি তো কিছু করিনি, তাই সেখানে বসেইছিলাম। ভেবেই নিয়েছিলাম যখন ছাড়বে, তখন যাব। প্রথমে কিছুই বুঝিনি। পরে দেখছি ওনারা ফোনে কথা বলছেন। মনে হচ্ছিল টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলছেন। পরে দেখি টিভিতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। ২০ কোটি শুনে তো আমার গা হাত পা কাঁপা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ আমি কোথায় পড়ে আছি?”
তবে সেসব ‘বিস্ময়’কে সামাল দিয়ে এখন পেটের চিন্তা ভাবাচ্ছে প্রণবকে। পুজোর মুখে চাকরিটা চলে গেল। প্রণব বলেন, “সামনে পুজো আসছে। একটা কাজ করছিলাম, ১৫ হাজার টাকা মাইনে। সেটা চলে গেল। এ মাসের মাইনেটাও পেলাম না। উল্টে ফোনটা যে ছিল, সেটা ইডির হাতে চলে গেল। ফোনটা পাব কি পাব না, সেটাও বুঝতে পারছি না।”
কলকাতা: যেদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়, সেদিন সকালেও গাড়ির চাবি নিতে ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন প্রণব ভট্টাচার্য। তিনি অর্পিতার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক। সেদিন সকালের অভিজ্ঞতা টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন নিজেই। একইসঙ্গে তিনি জানান, সেদিন প্রথম থেকে মনে হয়েছিল টাকাপয়সা সংক্রান্ত কিছু একটা চলছে। তবে তা যে এতটা ভয়ঙ্কর, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তা তিনি বুঝতে পারেন। টেলিভিশনের পর্দায় দেখেন, অর্পিতার টালিগঞ্জ ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মুঠো মুঠো নগদ টাকা।
প্রণবের দায়িত্ব ছিল অর্পিতাকে তাঁর কসবার ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টের অফিস কিংবা নেল পার্লারগুলিতে নিয়ে যাওয়া। যেদিন যেমন ‘ম্যাডাম’ বলতেন, সেইমতো টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে গিয়ে গাড়ির চাবি নিতেন প্রণব ভট্টাচার্য। বহুদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও অর্পিতাকে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে এসেছেন তিনি।
এরইমধ্যে গত শুক্রবার ২৩ জুলাই, যেদিন ইডি অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি চালায়, সেদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন প্রণব। তিনি বলেন, “আগের দিনও আমি ডিউটি করে এলাম। ম্যাডাম পার্লার গেলেন। এরপরই গাড়ি রেখে বাড়ি চলে আসি। পরদিন যখন ডিউটি জয়েন করি, প্রায় সাড়ে ১১টা। দেখি কিছু লোক বসে আছে। বুঝিনি ওনারা ইডির লোক। আমাকে বলল ভিতরে আসতে। গিয়ে বসলাম। তারপরই ধীরে ধীরে বুঝলাম তল্লাশি চলছে।”
অর্পিতার ব্যক্তিগত গাড়ির চালকের কথায়, “আমি তো কিছু করিনি, তাই সেখানে বসেইছিলাম। ভেবেই নিয়েছিলাম যখন ছাড়বে, তখন যাব। প্রথমে কিছুই বুঝিনি। পরে দেখছি ওনারা ফোনে কথা বলছেন। মনে হচ্ছিল টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলছেন। পরে দেখি টিভিতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। ২০ কোটি শুনে তো আমার গা হাত পা কাঁপা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ আমি কোথায় পড়ে আছি?”
তবে সেসব ‘বিস্ময়’কে সামাল দিয়ে এখন পেটের চিন্তা ভাবাচ্ছে প্রণবকে। পুজোর মুখে চাকরিটা চলে গেল। প্রণব বলেন, “সামনে পুজো আসছে। একটা কাজ করছিলাম, ১৫ হাজার টাকা মাইনে। সেটা চলে গেল। এ মাসের মাইনেটাও পেলাম না। উল্টে ফোনটা যে ছিল, সেটা ইডির হাতে চলে গেল। ফোনটা পাব কি পাব না, সেটাও বুঝতে পারছি না।”