কলকাতা : দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলনকে শান্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে তিনি যখন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন, তখন তাঁর অফিসের বাইরের পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুক্রবার সারারাত বিক্ষোভ চলার পর শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আর্জি জানিয়েছেন, আরও একটু সময় দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত জট একটু একটু করে খোলার চেষ্টা করছেন, তাতে একটু সময় লাগবে।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, একটু সময় দিন। অভিষেক চেষ্টা করছেন, সমস্যা কী ভাবে সমাধান করা যায়। যাঁদের দেখা করার আছে, তাঁদের স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা বলেন কুণাল। তিনি জানান, অভিষেক একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। নিয়োগের প্রক্রিয়া খুব জটিল, তাই সেই জটিলতা কাটাতে সময় লাগবে বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, নবম-দশম বা প্রাথমিক, সবকটা বিষয় আলাদা। প্রথম বৈঠকের পর সংশ্লিষ্ট দফতরে আলোচনা করে ফের বৈঠকে বসবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন কুণাল ঘোষ।
অযথা বিক্ষোভে রাজনীতিকে টেনে আনা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি উল্লেখ করেন, মমতার অনুমোদনক্রমে অভিষেকের উদ্যোগে জট ছাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বারবার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার তাঁদের আশ্বস্ত করা সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। এই প্রশ্নের মুখে কুণাল ঘোষ ভুলের কথা স্বীকার করেন। তিনি উল্লেখ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেওয়ার পর তিনি যাঁদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে কিছু ভুল হয়েছে, যা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সে ক্ষেত্রে তদন্ত বা শাস্তির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা চলবে বলে মন্তব্য করে কুণাল ঘোষ জানান, আপাতত বঞ্চিতদের চাকরি দেওয়াই তৃণমূলের মূল লক্ষ্য।
শুক্রবার রাতভর অভিষেকের অফিসের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন টেট চাকরি প্রার্থীরা। অভিষেকের প্রতিনিধি গিয়ে জানান, এক সপ্তাহ বাদে বৈঠকে বসবেন অভিষেক। এই আশ্বাসের পর চাকরি প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবেন না। ২০১৪ সালে টেট পাশ করার পরও চাকরি মেলেনি বলেই অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।