টুইটারে তিনি সদা সক্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি (BJP)-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের সঙ্গে তাঁর বিতণ্ডা সবসময়ই শিরোনামে থাকে। এহেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)-এর একটি ভাইরাল ভিডিয়ো হাতিয়ার করে ট্রোল করল গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির একটি অফিশিয়াল টুইটার হ্যাল্ডেল (BJP Bengal) থেকে লেখা হল, নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন। কিন্তু কী নিয়ে বিজেপির এই টুইট?
শনিবার অশোকনগরের প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। খাঁ খাঁ রোদের মধ্যেও এক ঘণ্টার উপর হুডখোলা গাড়িতে চেপে প্রচার করেন তিনি। কিন্তু তার পরেও আরও কিছু ক্ষণ তাঁকে প্রচার করার আর্জি জানাতেই মেজাজ হারান নুসরত। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আর তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘‘এক ঘণ্টার উপর র্যালি করছি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও করি না। ঠাট্টা করছ?’’ শুধু তাই নয়, মুখের কথা শেষ হওয়ার আগে গাড়ি থেকে নেমেও যান তিনি। এই ভিডিয়োটিকেই হাতিয়ার করে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে লেখা টুইটে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়, নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন।
TMC MP Nusrat Jahan ” I can’t do rally for more than 1 hour, I don’t even do it for CM”? #MamataLosingNandigram pic.twitter.com/p0jOm4iy03
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 28, 2021
এই ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের মধ্যে কেউ এক জন নুসরতকে বোঝাচ্ছেন, সামনে বড় রাস্তা। আর আধ কিলোমিটার গেলেই হবে। কিন্তু গাড়ির পিছনের রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকা নুসরত হাত নেড়ে না বলতে থাকেন। তাতেও ওই কর্মী না থামায় চটে যান তিনি। তবে কোনও দিকে না তাকিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন নুসরত।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে বিজেপির ফাঁদে পা দিয়েছেন মমতা?
এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেই সোজা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি Tv9 বাংলা। এদিকে এ নিয়ে এখনও তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিজেপি নেতা তেজেন্দর পাল সিং বাগ্গার কটাক্ষ, “তৃণমূল নেতাদের ফ্রাস্ট্রেশন দেখা যাচ্ছে প্রথম দফা ভোটের পরেই। বিজেপি-র দিল্লি শাখার মুখপাত্র তথা বাংলার ভোটকে সামনে রেখে ‘মোদী দাদা’ ক্যাম্পেন চালানো নেতা তেজেন্দর পাল সিং বাগ্গার কথায়, “এখন মানুষের সামনে যেতেও তৃণমূল নেতারা ভয় পাচ্ছেন।”