কলকাতা: একুশের নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021) নন্দীগ্রাম বিধাননসভা (Nandigram Assembly) কেন্দ্রে মমতা (Mamata Banerjee) -শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দ্বৈরথ অবশ্যম্ভাবী হতে চলেছে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মন্তব্য করেছেন, ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। এই মন্তব্য আরও উস্কে দিয়েছে জল্পনা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নন্দীগ্রাম কেন্দ্রেই প্রার্থী হতে চাইছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য নিজেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমিই নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে কেমন হয়?’ এদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু প্রথমে জানিয়েছিলেন, তিনি ভোটে দাঁড়াতে চান না। তাঁর লক্ষ্য তৃণমূলকে হারানো। তবে নন্দীগ্রাম আসনে তৃণমূলের টিকিটে দুবারের জেতা শুভেন্দু এমনও চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন , মমতা ওই কেন্দ্রে দাঁড়লে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন।
পরিসংখ্যান বলছেন, ২০১৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু ভোট পেয়েছিলেন ১,৩৪, ৬২৩টি। শতাংশের বিচারে তা ৬৭.২০। তারপরই ছিল সিপিআই-এর স্থান। প্রার্থী আব্দুল কবির শেখ পেয়েছিলেন ৫৩,৩৯৩টি ভোট। শতাংশের বিচারে ২৬.৭০ শতাংশ। বিজেপি সেই নির্বাচনে ভোট পেয়েছিল ১০,৭১৩টি, শতাংশের বিচারে ৫.৪০।
মাঝের এ কয়েক বছরে রাজনীতির ভার্টিক্যাল ট্রেন্ডিংয়ে বদলেছে অনেক পাটিগণিতের অঙ্ক। শুভেন্দু আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই চান, শুভেন্দু নন্দীগ্রাম কেন্দ্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন।
নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রাজনৈতিক মহলে ঘোরফেরা করছিলই। এরই মধ্যে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দুর ইস্তফা সেই জল্পনাকে একেবারে অপ্রকাশিত সত্যের চেহারা দেয়। গোটা পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর নাম আলোচনায় আছে।” রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “সোমবার জেলা স্তরের কার্যকর্তাদের সঙ্গে প্রার্থী নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেটা পুরো টিমের সামনে রাখা হয়। আগামীকাল, বুধবার নির্বাচন কমিটির মিটিং আছে। সেখানে প্রদেশের প্রথম দুটি পর্যায়ের ভোটের প্রার্থীদের নাম নিয়ে পর্যালোচনা হবে। একএকটি কেন্দ্রে দু-তিনটে করে নাম দিল্লিতে নিয়ে যাব। তারই প্রস্তুতি বৈঠক ছিল।”
আরও পড়ুন: প্রার্থীপদের মাপকাঠি নির্ধারণে বিশেষ ফর্মুলায় জোর! গেরুয়া শিবিরের চিন্তনে কারা কারা?
এরপরই সাংবাদিকরা শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন। জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তাঁর সঙ্গে এবিষয়ে কথা হয়নি। তবে ওনার নাম এসেছে।” স্বাভাবিকভাবেই একুশের নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হিসাবে গণ্য হচ্ছে নন্দীগ্রামই। লড়াইয়ের ‘এপিসেন্টার’ যে এই কেন্দ্রই।