কলকাতা: বুধের পর আজ, বৃহস্পতিবার। বিধানসভায় এক কাট্টা বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা বলছেন, গত আড়াই বছরে এই প্রথম স্পিকার কোনও আলোচনায় অনুমতি দিলেন। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ পঞ্চায়েত ভোট এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা হবে। বিধানসভার কার্যবিবরণীর ১৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, এই ধারায় বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটাভুটির জায়গা নেই। সূত্রের খবর, আলোচনায় যোগ দিতে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বুধবারও বাংলায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। তাঁরা এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেছিলেন। কিন্তু স্পিকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা ওয়াক আউট করেন। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল গতকালই অভিযোগ করেছিলেন, এতদিন পর্যন্ত যে কোনও ইস্যুতেই তাঁরা আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন, তা একটাও গ্রহণ করেননি স্পিকার। বিচারাধীন বিষয় বলে তা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয় বলে স্পিকার আলোচনা এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়করা। যদিও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পদ্ধতিতেই বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। এদিন অবশ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে রেখে মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি।
বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে হিংসার ঘটনা ঘটছে। বিরোধী প্রার্থী, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি এখনও ভয়ে অনেকেই ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে চান তাঁরা।
এ দিন স্পিকার অনুরোধ করেন, দু’পক্ষের তরফে যেন দু তিন জন বক্তা দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মুলতুবি প্রস্তাবে বিজেপির পক্ষ থেকে বলবেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও বলতে পারেন, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী এবং কোচবিহার দক্ষিণের নিখিল রঞ্জন দে। তিনজনেই ১৫ মিনিট করে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সরকারও আলোচনা চায়, বলে জানিয়েছিলেন পরিষদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।