কলকাতা : মুকুল রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান (PAC Chairman Mukul Roy) পদে বহাল থাকার ইস্যুর প্রভাব এবার গিয়ে পড়ল নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে। রাজ্য বিধানসভায় আগামী ২৩ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় নেতাজির ছবিতে মাল্যদান করবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে থাকবেন না বিজেপির বিধায়করা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গ বিজেপির বিধায়ক দল পৃথকভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করবেন। শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা পৃথকভাবে মাল্যদান করব। নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানাব।’ বিধানসভা কর্তৃপক্ষের আয়োজিত কর্মসূচি এর আগেও বয়কট করেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। পরে বিজেপি পরিষদীয় দল মনীষীদের প্রতি আলাদা করে সম্মান জানিয়েছে, এবারও তার অন্যথা হবে না বলে খবর।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার অধ্যক্ষের শুনানির ওপর তাঁদের আর আস্থা নেই। আর এবার তার প্রভাব গিয়ে পড়ল নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের কর্মসূচিতেও। মুকুল রায়কে বিধায়ক পদ থেকে সরানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে শুনানি থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট – সব জায়গাতেই যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। অথচ মুকুল রায়ের বক্তব্য তিনি নাকি এখনও বিজেপিতেই আছেন। মুকুলের আইনজীবীরা বলছেন, তিনি কোনও দল পরিবর্তন করেননি। তৃণমূলের কর্মসূচিতে তিনি গিয়েছিলেন সৌজন্যের খাতিরে। তিনি তৃণমূলের পতাকাও হাতে তোলেননি বলে দাবি। যে উত্তরীয়টি অভিষেক তাঁকে পরিয়েছিলেন, সেটি নিছক রাজনৈতিক সৌজন্য ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনটাই দাবি মুকুলের আইনজীবীদের।
মুকুলের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত সর্বশেষ শুনানিতে অবশ্য বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শুনানি অনেক দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তিনিও এই বিষয়টির নিষ্পত্তি চাইছেন এবার। তবে বিধানসভার অধ্যক্ষের উপরে আস্থা রাখতে চাইছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের উপরেই ভরসা রাখছেন তিনি। আর এরই মধ্যে মুকুল মামলার আঁচ গিয়ে পড়ল নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানেও। এখনও পর্যন্ত সূত্র মারফত যা খবর, তাতে নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে বিধানসভা কর্তৃপক্ষের আয়োজিত অনুষ্ঠানে থাকবেন না বিরোধী দলনেতারা। তাঁরা পৃথকভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করবেন। উল্লেখ্য, এর আগেও সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ইস্যুতে বিধানসভার কর্মসূচি বয়কট করেছেন বঙ্গ বিজেপির বিধায়করা। সম্প্রতি লোকায়ুক্ত নিয়োগের বৈঠককে ‘প্রহসন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে তা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।