West Bengal BJP: এখনই শো কজের জবাব নিয়ে ভাবছেন না জয়প্রকাশ, রীতেশ; দাবি সূত্রের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 24, 2022 | 6:20 PM

BJP: রবিবার দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিজেপির দুই পুরনো নেতা রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শো কজ করেন রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়।

Follow Us

কলকাতা: দল চাইছে যত তাড়াতাড়ি জবাব পাওয়া যায়। এদিকে সূত্রের দাবি, এখনই শো কজের জবাব নয়। সূত্রের খবর, কী লিখবেন, কবে কারণ দর্শাবেন তা নিয়ে এখনও কিছু ‘মনস্থির করেননি’ বিজেপির দুই বঙ্গনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar) এবং রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari)। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রবিবার জয়প্রকাশ ও রীতেশকে শো কজের চিঠি দেয় বিজেপির রাজ্য কমিটি। সূত্রের খবর, এই চিঠি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ এখনও চূড়ান্ত করেননি দুই নেতা। বিজেপি সূত্রে এমনও শোনা যাচ্ছে, শো কজ নোটিসে জবাব দেওয়ার কোনও সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। সে কারণেই ভাবনাচিন্তা করে কিছুটা সময় নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চান জয়প্রকাশ মজুমদাররা। যদিও এই বিষয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বা রীতেশ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি।

রবিবার দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিজেপির দুই পুরনো নেতা রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শো কজ করেন রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়। চিঠিতে লেখা হয় এই রীতেশ ও জয়প্রকাশ কিছুদিন ধরে পার্টি বিরোধী বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে দিচ্ছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে এই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হল বলেও চিঠিতে লেখা হয়। কেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হয়।

তবে এই চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি, কবে কোথায় দলবিরোধী কী মন্তব্য করেছেন জয়প্রকাশরা। এ নিয়ে রীতেশ তিওয়ারিও সরব হন। তাঁর বক্তব্য, “আমি যে চিঠি পেয়েছি, সেখানে বলা হয়েছে আমি নাকি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছি। দলের বিরুদ্ধে আমি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছি। কিন্তু যে চিঠিটা পেয়েছি সেখানে উল্লেখ করা হয়নি কবে কোথায় কী বলেছি। এর কোনও ব্যাখ্যাও নেই।”

সূত্রের খবর, এই হাতিয়ারেই শান দিচ্ছেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো বঙ্গ বিজেপির পুরনো নেতারা। যেহেতু শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কী বলেছেন, কবে বলেছেন সেসবের উল্লেখ চিঠিতে নেই। পাশাপাশি জবাব দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ও উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি, তাই কারণ দর্শানোর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো নেই তাঁদেরও বলেই দাবি সূত্রের। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি জবাব চাইছি। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আছে। তারা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।”

এদিকে শো কজ নোটিস পাওয়ার পরও জয়প্রকাশ মজুমদারকে দেখা যায় বনগাঁর সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করতে। বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত বলেই দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, দলের অভ্যন্তরীন বিষয়ে চিঠি। তা কীভাবে সংবাদমাধ্যমে আগেই পৌঁছে গেল, সেটাও তো দেখতে হবে দলকে। ক্ষোভ উগরে রীতেশ তিওয়ারি জানান, “যারা এই মুহূর্তে বাংলায় দলটাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ২০১৯ সাল নাগাদ তাঁরা দলটা করেন। এই দলের এক শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশের সাক্ষী আমি।”

যদিও দিলীপ ঘোষ বলেন, “কোন্দলের কিছুই নেই। পরিবর্তনের সময় একটু আওয়াজ হয়। শো কজ যে কোনও কারণে যে কোনও দলীয় সদস্যকে করা যায়। দল জিজ্ঞাসা করতেই পারে তোমার সম্পর্কে এরকম কথা শোনা যাচ্ছে তুমি উত্তর দাও। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে যা বলার বলবেন। এটাই দলের সিস্টেম। কোনওরকম টালমাটাল হলে দল এরকম পদক্ষেপ করে। অনেক সময় অনেককে জিজ্ঞাসা করা হয়। আমার মনে হয় না এটা নিয়ে এত চিন্তার কিছু আছে।”

আরও পড়ুন: TMC Party Office: খাঁড়ি ‘দখল করে’ তৃণমূলের এসি পার্টি অফিস! সৎ হলে ভেঙে দিক, চ্যালেঞ্জ বিজেপির

কলকাতা: দল চাইছে যত তাড়াতাড়ি জবাব পাওয়া যায়। এদিকে সূত্রের দাবি, এখনই শো কজের জবাব নয়। সূত্রের খবর, কী লিখবেন, কবে কারণ দর্শাবেন তা নিয়ে এখনও কিছু ‘মনস্থির করেননি’ বিজেপির দুই বঙ্গনেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar) এবং রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari)। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রবিবার জয়প্রকাশ ও রীতেশকে শো কজের চিঠি দেয় বিজেপির রাজ্য কমিটি। সূত্রের খবর, এই চিঠি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ এখনও চূড়ান্ত করেননি দুই নেতা। বিজেপি সূত্রে এমনও শোনা যাচ্ছে, শো কজ নোটিসে জবাব দেওয়ার কোনও সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। সে কারণেই ভাবনাচিন্তা করে কিছুটা সময় নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চান জয়প্রকাশ মজুমদাররা। যদিও এই বিষয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বা রীতেশ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি।

রবিবার দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিজেপির দুই পুরনো নেতা রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শো কজ করেন রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়। চিঠিতে লেখা হয় এই রীতেশ ও জয়প্রকাশ কিছুদিন ধরে পার্টি বিরোধী বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে দিচ্ছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে এই কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হল বলেও চিঠিতে লেখা হয়। কেন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হয়।

তবে এই চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি, কবে কোথায় দলবিরোধী কী মন্তব্য করেছেন জয়প্রকাশরা। এ নিয়ে রীতেশ তিওয়ারিও সরব হন। তাঁর বক্তব্য, “আমি যে চিঠি পেয়েছি, সেখানে বলা হয়েছে আমি নাকি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছি। দলের বিরুদ্ধে আমি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছি। কিন্তু যে চিঠিটা পেয়েছি সেখানে উল্লেখ করা হয়নি কবে কোথায় কী বলেছি। এর কোনও ব্যাখ্যাও নেই।”

সূত্রের খবর, এই হাতিয়ারেই শান দিচ্ছেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো বঙ্গ বিজেপির পুরনো নেতারা। যেহেতু শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কী বলেছেন, কবে বলেছেন সেসবের উল্লেখ চিঠিতে নেই। পাশাপাশি জবাব দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ও উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি, তাই কারণ দর্শানোর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো নেই তাঁদেরও বলেই দাবি সূত্রের। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি জবাব চাইছি। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আছে। তারা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।”

এদিকে শো কজ নোটিস পাওয়ার পরও জয়প্রকাশ মজুমদারকে দেখা যায় বনগাঁর সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করতে। বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত বলেই দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, দলের অভ্যন্তরীন বিষয়ে চিঠি। তা কীভাবে সংবাদমাধ্যমে আগেই পৌঁছে গেল, সেটাও তো দেখতে হবে দলকে। ক্ষোভ উগরে রীতেশ তিওয়ারি জানান, “যারা এই মুহূর্তে বাংলায় দলটাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ২০১৯ সাল নাগাদ তাঁরা দলটা করেন। এই দলের এক শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশের সাক্ষী আমি।”

যদিও দিলীপ ঘোষ বলেন, “কোন্দলের কিছুই নেই। পরিবর্তনের সময় একটু আওয়াজ হয়। শো কজ যে কোনও কারণে যে কোনও দলীয় সদস্যকে করা যায়। দল জিজ্ঞাসা করতেই পারে তোমার সম্পর্কে এরকম কথা শোনা যাচ্ছে তুমি উত্তর দাও। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে যা বলার বলবেন। এটাই দলের সিস্টেম। কোনওরকম টালমাটাল হলে দল এরকম পদক্ষেপ করে। অনেক সময় অনেককে জিজ্ঞাসা করা হয়। আমার মনে হয় না এটা নিয়ে এত চিন্তার কিছু আছে।”

আরও পড়ুন: TMC Party Office: খাঁড়ি ‘দখল করে’ তৃণমূলের এসি পার্টি অফিস! সৎ হলে ভেঙে দিক, চ্যালেঞ্জ বিজেপির

Next Article