AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: গ্রামীণ রাস্তার জন্য কেন্দ্র ৫৮৪ কোটি টাকা দিলেও কী কী গাইডলাইন দিয়েছে, জানালেন শুভেন্দু

BJP: শুভেন্দুর কথায়, "ব্যক্তিগত দান অনুদান আর কাটমানির ঠেলায় এই রাজ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানীয় জলের সুব্যবস্থা, কৃষকদের ন্যায্যমূল্যে বীজ বা সার দেওয়া হয় না। এই ইস্যুগুলোর উপর প্রশ্ন উত্তর পর্ব হোক আমরা চাই।"

Suvendu Adhikari: গ্রামীণ রাস্তার জন্য কেন্দ্র ৫৮৪ কোটি টাকা দিলেও কী কী গাইডলাইন দিয়েছে, জানালেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী।
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2022 | 7:15 PM
Share

কলকাতা: ফের রাজ্যকে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhkari)। তৃণমূল সরকারকে দেউলিয়া সরকার বলে তোপ দেগে শুক্রবার শুভেন্দু বলেন, আগামী বিধানসভা অধিবেশনে তাঁরা প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেবেন এবং অন্য কোনও ইস্যু সেখানে তাঁরা তুলবেন না। শুভেন্দু বলেন, “প্রায় ২ বছর হতে যাচ্ছে এই সরকারের। বিভিন্ন এলাকার বিধায়করা তাঁদের জ্বলন্ত সমস্যার কথা, বিভিন্ন দফতরের বঞ্চনা, দুর্নীতির কথা, বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন।” শুভেন্দুর কথায়, “ব্যক্তিগত দান অনুদান আর কাটমানির ঠেলায় এই রাজ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানীয় জলের সুব্যবস্থা, কৃষকদের ন্যায্যমূল্যে বীজ বা সার দেওয়া হয় না। এই ইস্যুগুলোর উপর প্রশ্ন উত্তর পর্ব হোক আমরা চাই।”

বৃহস্পতিবারই গ্রামীণ রাস্তার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ৫৮৪ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারত সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কিছু অর্থ বরাদ্দ করার কথা রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে। আমরা গত কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি দেউলিয়া রাজ্য সরকার, অর্থনৈতিকভাবে ঋণে জর্জরিত রাজ্য সরকার দান খয়রাতি খেলা মেলা করতে গিয়ে কার্যত এই রাজ্যকে অর্থনৈতিকভাবে একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া সরকার লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচার করে। আমরা নাকি কেন্দ্রকে এই রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিই বলে।”

তৃণমূল বারবারই অভিযোগ তুলেছে, বঙ্গ বিজেপি বাংলার মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী। তাই কেন্দ্র যাতে রাজ্যের উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা না দেয় দিল্লিতে গিয়ে দরবার করে। এদিন শুভেন্দু ব্যাখ্যা দেন, “আমি বা আমরা দিল্লিতে চিঠি দিয়ে বলেছি, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী স্টিকার পলিটিক্স করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার রেশনকে বলেন খাদ্য়সাথী, তিনি প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পকে বলেন নির্মল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনাকে বলেন নির্মল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে বাংলার গ্রামীণ আবাস যোজনা বলেন। জল জীবন মিশনকে পাল্টে বলেন জলস্বপ্ন। আমাদের আপত্তিটা এখানেই। আমরা চাই বাংলার সব কাঁচা রাস্তা পাকা হোক। কিন্তু আমরা বরাবর বলেছি, নাম বদল করা যাবে না।”

এরই রেশ ধরে কেন্দ্রের ৫৮৪ কোটি টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “আমি আবেদন করব যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে রাজ্যের প্রকল্প হিসাবে লিখে রাখা হয়েছে তা রাস্তা হোক বা বাড়ি, শৌচালয় হোক আমাকে ছবি তুলে পাঠান। আমি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে পাঠাব। জল জীবন মিশনের জন্য গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের কাছে জানাব। এই ৫৮৪ কোটি টাকায় আমাদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্র গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে। নতুন রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে লাগাতে হবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার লোগো। স্থানীয় সাংসদকে তাঁর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। তাঁদের দিয়ে রাস্তা উদ্বোধন করাতে হবে। যে দলেরই হোন না কেন তিনি।”