কলকাতা: পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। গত কয়েকদিনে পাট কারখানাগুলির রুগ্ন দশা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক বাক্যবাণ চালিয়েছেন অর্জুন। তাঁর নিশানায় জুট কর্পোরেশনের কমিশনার যেমন ছিলেন, ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও। প্রথম থেকেই অর্জুন সিং দাবি করেছেন, প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনেও নামতে রাজি তিনি। এবার এই নিয়ে চিঠিও লিখলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই নয়, একই সঙ্গে বিজেপি সাংসদের চিঠি গিয়েছে বিহার, ওড়িশা, ত্রিপুরা, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্জুন সিং লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় জুট কমিশনার পাটের দাম বেঁধে দেওয়ায় আমাদের রাজ্যের পাটশিল্প, পাট কারখানা এবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আমার অনুরোধ আপনি এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। লক্ষ লক্ষ পাটচাষির জীবন জড়িয়ে এর সঙ্গে। বস্ত্র মন্ত্রকের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করুন। আমি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। আমার এখানে প্রায় ২০টি চটকল রয়েছে। যার উপর লক্ষাধিক মানুষের পেট চলে।’ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, এভাবে পাটের দাম বেঁধে দেওয়ায় পাটকলগুলির কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বহু কারখানা কার্যত জোর করেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
Letter to Honourable CM of West Bengal @MamataOfficial ji on the issue of price capping on Raw Jute by the Jute Commissioner of India and saving the lives of Jute farmers, Jute workers and Jute industry. @egiye_bangla pic.twitter.com/VFLJKPss7b
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) April 29, 2022
অর্জুন সিং জানান, “দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন প্রতিটি কারখানা, পাটশিল্পকে উন্নত করার জন্য জুট বোর্ড গঠন করেছেন। সেই সময় জুট কর্পোরেশনের কিছু অসাধু শক্তি পাটের দামকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলব সব থেকে বেশি চাষি, শিল্প বাংলায়। এই দায়িত্ব উনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রী ডাকলে আমরা বলব, এটা নিয়ে যৌথভাবে লড়াই করার দরকার আছে। না হলে শিল্পটাই বাঁচবে না।”
অর্জুনের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি লড়ছেন ভাল। কেন্দ্রীয় সরকার জুটের ব্যাগে ১০০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। সরকার একটা নীতি নিয়ে চলবে। এখানে সমস্যা সমাধানের দায় তাদের, যারা এতদিন ধরে আয় করেছে।” পাল্টা দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গেই কেন এত অভিযোগ উঠছে?”