কলকাতা: গ্রুপ ডি’র (Group D) ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। মঙ্গলবার গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসু বলেন, ‘গ্রুপ ডি’র ওয়েটিং লিস্ট কিন্তু গঙ্গার মতো স্বচ্ছ নয়। এটা মনে রাখতে হবে।’ একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিচারপতি বসুর পরামর্শ, ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি ১ হাজার ৯১১ জন কর্মরত গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরির সুপারিশ বাতিল হয়েছে। এই ১ হাজার ৯১১ জনের শূন্যপদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ ও নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাও দায়ের হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া মামলাও এই মুহূর্তে বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি বসুর আজকের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
গ্রুপ ডি-তে ওএমআর শিট বিকৃতির বিষয়টি সামনে আসার পর প্রায় ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরির সুপারিশ খারিজের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সুপারিশ বাতিলের পাশাপাশি তিনি বলেন, যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১ হাজার ৯১১ জন ডিভিশন বেঞ্চে যান। এক তরফা মামলার রায় যাতে না হয়, তার জন্য আবার এক মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েটও দাখিল করেন।
এরইমধ্যে প্রশ্ন ওঠে, যদি ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়, তা হলে সেই শূন্য জায়গায় কারা কাজ করবেন। কারণ প্রত্যেক স্কুলে এই গ্রুপ ডি কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে ফাইল আনা, সব কাজই করেন তাঁরা। এ প্রশ্ন যখন সামনে আসে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন, সেখান থেকে নেওয়া যেতে পারে। সেই প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও পায় এসএসসি। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ওয়েটিং লিস্ট থেকে প্রার্থী বাছার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।