HC: তদন্তের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট বিচারপতি মান্থা, জলপাইগুড়ির ঘটনায় মুখ বন্ধ খাম জমা পড়ল হাইকোর্টে

Shrabanti Saha | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 30, 2023 | 5:31 PM

Jalpaiguri: গত ১ এপ্রিলের ঘটনা। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পাণ্ডাপাড়া রোড এলাকার দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। দু'জনই সমাজসেবী হিসাবে এলাকায় পরিচিত।

HC: তদন্তের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট বিচারপতি মান্থা, জলপাইগুড়ির ঘটনায় মুখ বন্ধ খাম জমা পড়ল হাইকোর্টে
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: জলপাইগুড়িতে দম্পতির আত্মহত্যায় রাজ্য পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেলের (এডিজি) রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে। এডিজি কালিয়াপ্পন জয়রামনের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট এদিন মুখ বন্ধ খামে জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে যে বিষয়ে তদন্তে নজর দেওয়ার কথা, তা দেখা হচ্ছে। আদালত সেই রিপোর্ট প্রকাশ না করে ফের মুখ বন্ধ করেই এদিন পাঠিয়ে দেয় জয়রামনের কাছে। রিপোর্ট দেখে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত ১ এপ্রিলের ঘটনা। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পাণ্ডাপাড়া রোড এলাকার দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। দু’জনই সমাজসেবী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ ওঠে, সুবোধবাবু ও অপর্ণাদেবী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়কের আত্মীয়।

দম্পতি চার পাতার একটি সুইসাইড নোট লেখেন। সেখানে নাম রয়েছে যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও দু’জনের। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনার পর থেকে সৈকত ফেরার বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ভট্টাচার্য দম্পতির মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্তা কালিয়াপ্পন জয়রামন। নমুনা সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন বলে জানান। এবার সেই ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে।

সরকার পক্ষের আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা। মামলাকারীরা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত না করিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চেয়েছিল। আজ শুনানি হল। বিচারপতি তদন্তকারীর রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট। মামলাকারীদের সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজও করে দিয়েছেন।”

Next Article