AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Naushad Siddiqui: নওশাদ ‘ঘনিষ্ঠ’ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তলব নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পুলিশ

Naushad Siddiqui: ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ব্যবসায়ী শেখ শামসুর আলমকে সম্প্রতি তলব করে লালবাজার।

Naushad Siddiqui: নওশাদ  'ঘনিষ্ঠ' স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তলব নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পুলিশ
নওশাদ সিদ্দিকি।
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2023 | 1:22 PM
Share

কলকাতা: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) ঘনিষ্ঠ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভার্চুয়ালি হাজিরা দেবেন পুলিশের সামনে। শেখ শামসুর আলম নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভিডিয়োর মাধ্যমে পুলিশের কাছে হাজিরা দেবেন। সেই জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দিয়ে জানাবে পুলিশ। কোনও নথির দরকার হলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দেবে পুলিশ। তবে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। দু’ সপ্তাহ পরে রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ব্যবসায়ী শেখ শামসুর আলমকে সম্প্রতি তলব করে লালবাজার। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে কলকাতা পুলিশ তল্লাশিও চালায় বলে সূত্রের খবর। তবে ওই ব্যবসায়ী প্রথম থেকেই দাবি করেন তিনি নওশাদের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নন। তিনি নওশাদের শুধুই পরিচিত। আর সে কারণেই তাঁকে তলব বলে দাবি করেন তিনি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থও হন তিনি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে যান তিনি।

এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, ‘এটা তো বিস্ময়ের। ১৬০ ধারায় নোটিস দিয়ে পুলিশ ডাকছে। সাধারণভাবে ফরেন্সিক রিপোর্টে দেরী হলে এরকম হয়।’ এরপরই এজি বলেন, ‘এখানে মোবাইলের রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে ডাকা হয়েছে।’ পাল্টা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘নওশাদের মোবাইল ফোন থেকে নাম পাওয়া গিয়েছে। কলকাতা থেকে পুলিশ চেন্নাই গিয়ে নোটিস দিয়ে আসে। তল্লাশি করে। চারটে মামলা করা হয়েছে হেনস্থার জন্য।’ এরপরই বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশ কেনো নিজে ১৬০ ধারায় নোটিস পাঠাল, তাও নিজে গিয়েই। এটাই প্রশ্ন। আপনারা আগে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করুন। ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিয়ে জানাবেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে আসার জন্য।”

রানি রাসমণি রোডে আইএসএফের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় গত ২১ জানুয়ারি। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন নওশাদ। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এদিকে এই মামলায় বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। নওশাদের মোবাইল ফোন থেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের বেশ কিছু চ্যাট পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। এই চ্যাট হাওয়ালা যোগের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করে বলেও দাবি করা হয়।

আইনজীবী দীপঙ্কর কুন্ডু আগেই বলেছিলেন, “আমরা মনে করছি এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করারই চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমরা নওশাদের দু’টি মোবাইল সিএফএসএলে পাঠাচ্ছি। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।” এরপরই শেখ শামসুর আলমের কাছে নোটিস যায়।