AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA Agitation: ‘২০,২১ না এলে ২২-এও বাড়িতেই থাকুন’, মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে আরও ঝাঁঝালো DA-র দাবিতে আন্দোলন

DA Agitation: আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট কথা, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ কেন্দ্রের থেকে কত টাকা বাকি আছে, সেই হিসেব যেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন। তাহলে তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনে বসবেন।

DA Agitation: '২০,২১ না এলে ২২-এও বাড়িতেই থাকুন', মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে আরও ঝাঁঝালো DA-র দাবিতে আন্দোলন
ডিএ বিক্ষোভ
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2023 | 1:16 PM
Share

কলকাতা: রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ তিন শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। অসন্তোষ আরও তীব্র হয়েছে হকের ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের। আজ তাঁদের আন্দোলনের ২১ তম দিন। শুক্রবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। বামেদের যৌথ মঞ্চ ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে এই বিধানসভা অভিযান। আগামী ২০ ও ২১ তারিখ তাঁদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি রয়েছে। কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার দিবস পালন করছেন তাঁরা। দাবি একটাই, বকেয়া ডিও মিটিয়ে দিতে হবে। এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিন শতাংশের বেশি বাড়ানো এখনই সম্ভব নয়। এদিকে আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট কথা, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ কেন্দ্রের থেকে কত টাকা বাকি আছে, সেই হিসেব যেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন। তাহলে তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনে বসবেন।

এদিকে সম্প্রতি আবার রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২০,২১ না এলে ২২ তারিখেও আসার দরকার নেই। এই নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন মঞ্চের সরকারি কর্মীরা বলছেন, ‘মন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। দফতরের ক্ষতি হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শাস্তি দেওয়ার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী বলছেন, ২২ তারিখ অফিসে ঢুকতে দেবেন না। এটা বলার উনি কে? এটি বলার এক্তিয়ার ওনার নেই। উনি তার মানে সংবিধান মানেন না।’

সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে এই আন্দোলনের আঁচ শিক্ষাক্ষেত্রেও ছড়াতে শুরু করেছে। এদিন একযোগে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়… সর্বত্র একই ছবি। টানা তিন ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অধ্যাপকদের একাংশের বক্তব্য, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পথ অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।