কলকাতা: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Nazrul University) উপাচার্যকে অপসারিত করেন রাজ্যপাল। উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী এই অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালতে তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, রাজ্যপালের এ হেন নির্দেশে সাধন চক্রবর্তীর সম্মানহানি হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে উপাচার্য নিজেই স্বেচ্ছাবসরের কথা জানান। রাজ্যপাল উপাচার্যের বরখাস্তের চিঠি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে ইস্তফা দেবেন উপাচার্য। তিনি নিজেই স্বেচ্ছাবসরের কথা জানান হাইকোর্টে। বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণ, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কাউকে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারে। এটা অন্তর্বর্তী সিদ্ধান্ত বলা যায়, অ্যাসাইন্ড বলা যায়। আপনি সেই দায়িত্ব পেয়েছেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আইন অনুযায়ী এটাই নিয়ম। আপনার রিজাইন করা উচিৎ। ডিগনিটির জন্য। আপনার কাজে রাজ্য যদি খুশি না হন কেন থাকবেন?’
এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি উনি নিজেই সরে যান কিছু বলার নেই। তাঁর নিয়োগ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে হয়। সরানোর ক্ষেত্রেও সেটাই প্রযোজ্য।’ পাল্টা আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, ‘একবার নিয়োগ হয়ে গেলে তিনি আচার্যের অধীনে চলে যান। সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্ন নেই।’
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সাধন চক্রবর্তীকে অপসারিত করেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছিল, উপাচার্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে যান উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। তাঁর আইনজীবীর প্রথম থেকেই বক্তব্য ছিল, এমন শব্দবন্ধ একজন ব্যক্তির সম্মানে আঘাত করে। গত মঙ্গলবার শুনানির প্রথমদিন আদালত জানতে চেয়েছিল, কেন উপাচার্যকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এদিন উপাচার্যই জানান, তিনি স্বেচ্ছাবসর নেবেন এবং তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।