Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি চঞ্চল নন্দীর, ডিভিশন বেঞ্চে মিলল রক্ষাকবচ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 30, 2022 | 10:20 PM

Bankura: গত ২ সেপ্টেম্বর মানসকুমার সিংহ নামে বাঁকুড়ার এক বাসিন্দা একটি এফআইআর দায়ের করেন। বাঁকুড়া থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি চঞ্চল নন্দীর, ডিভিশন বেঞ্চে মিলল রক্ষাকবচ
কলকাতা হাইকোর্ট।

Follow Us

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি চঞ্চল নন্দীর। গত শুক্রবারই চঞ্চলকে রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চে যান তিনি। সেই মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তাঁকে রক্ষাকবচ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, অভিযোগের দু’বছর পর এফআইআর করা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, এখন পর পর উৎসব। উৎসবের মরসুম। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে তদন্ত চললেও কোনরকম কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না চঞ্চলের বিরুদ্ধে।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ দায়ের হয় চঞ্চল নন্দীর বিরুদ্ধে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আবেদন খারিজ করেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে আদালত তদন্তে হস্তক্ষেপ বা আবেদনকারীর আবেদনে সাড়া দিতে অপারগ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান চঞ্চল।

 

কী অভিযোগ চঞ্চল নন্দীর বিরুদ্ধে? গত ২ সেপ্টেম্বর মানসকুমার সিংহ নামে বাঁকুড়ার এক বাসিন্দা একটি এফআইআর দায়ের করেন। বাঁকুড়া থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক ও বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে চঞ্চল নন্দীর বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। এর প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চঞ্চল। তিনি এফআইআর খারিজের আবেদন জানান। একইসঙ্গে রক্ষাকবচ চান। তাঁর বিরুদ্ধে যেন কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করা হয়, তাঁর আবেদন জানান। তবে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছিল ২৩ সেপ্টেম্বর। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত স্বস্তি দিল এই মামলায়। তদন্ত এগোলেও এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ।

Next Article