কলকাতা: চিনে ফের করোনার (COVID 19) বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই সতর্ক ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই সব রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর আরও জোর দিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। করোনা পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই ফের লাগামছাড়া না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর রাজ্য।
বিভিন্ন জেলাতে করোনা আক্রান্তদের ওপর বিশেষভাবে নজরদারি বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম ধাপে রাজ্যজুড়ে ৩৭১৮ টি বেড কোভিডের জন্য প্রস্তুত রাখার জন্য হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষের বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়েছে। যাঁদের এখনও বুস্টার ডোজ় নেওয়া হয়নি, তাঁদের টিকাকরণের উপর নজর দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। করোনা মোকাবিলার জন্য সব ধরনের কিট যাতে হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুত থাকে, সেগুলির উপর নজর রাখার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। যেসব রোগীদের শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও সমস্যা রয়েছে, তাঁদের উপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এর পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিমানবন্দরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের নবান্নের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, কলকাতা বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে আসা দুইজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। অপরজন কলকাতা থেকে বিহারের দারভাঙায় চলে গিয়েছেন। তাঁর বিষয়েও তথ্য বিহার সরকারকে এ রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।