কলকাতা: রাজ্যে এখনই আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ নয়। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। আরটিপিসিআর পরীক্ষা করার পর দেখতে হবে, যাতে সবাই একসঙ্গে না থাকেন। কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেশাবলী মেনে কাজ করতে হবে। যাঁরা বাড়িতে একান্তবাসে থাকছেন বা যাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাসে যাচ্ছেন, তাঁদের সবার ঠিকানা নথিবদ্ধ রাখতে। আজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি, সতর্ক করে বলা হয়েছে, আরটিপিসিআর পরীক্ষা না করে যেন কাউকে না ছাড়া হয়। যাঁরা এই কাজগুলি করবেন, তাঁদেরও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা দিতে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, ২ জন করোনা আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের হদিশ পাওয়ার পর থেকেই নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছিল কেন্দ্রের তরফে। জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর সেই জেনোম সিকোয়েন্সিং-এ দু জনের শরীরে ধরা পড়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছিলেন, কর্ণাটকে দু জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। একজনের বয়স ৬৬ ও অন্যজনের বয়স ৪৬।
এই পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের উপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর থেকে আগত যাত্রীদের উপর বাড়তি নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। যদিও আজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ওমিক্রনের ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে। এদিকে, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে একাধিক সতর্কতা। কেন্দ্রের পাশাপাশি একাধিক রাজ্যও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র সরকারও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য কড়া নিয়ম চালু করেছে। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয় যে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আগত যাত্রাীদের বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিন প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাসে থাকতে হবে।
মুম্বই বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের একান্তবাসের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলিতেই তাদের থাকতে হবে এবং খরচও নিজেদেরই বহন করতে হবে। তবে এই নিয়ম নিয়ে সংশয়ও দেখা দিয়েছে। কারণ যে সমস্ত যাত্রীরা মাঝ আকাশে রয়েছেন, তারা এই নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। তাদের পক্ষে সাতদিন হোটেলে একান্তবাসে থাকার খরচ অনেকটাই ব্যয়সাপেক্ষ হতে পারে।