কলকাতা: গার্ডেনরিচ বিল্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনার আগেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। গোটা দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। যখন আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর রয়েছে, তখন গার্ডেনরিচ বিল্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছিল। নির্বাচন কমিশনও জানতে চেয়েছিল, কেন নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে? এবার সেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণার কারণ ব্যাখ্যা করে জবাব দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের শীর্ষ আমলা এদিন কমিশনকে রাজ্য সরকারের তরফে যুক্তি জানিয়েছেন। কমিশনকে দেওয়া ব্যাখ্যায় কী জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব? নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরও কেন ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে?
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিশনকে দেওয়া জবাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা জানিয়েছেন, কোনও বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। রাজ্যের শীর্ষ আমলার সেই জবাব ইতিমধ্যেই রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রবিবার গভীর রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল গার্ডেনরিচের এক নির্মীয়মাণ বহুতল। বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল ওই বহুতলটি। দুর্ঘটনার পর পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধার অভিযান চালায় গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়া কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের তলায়। রবিবার গভীর রাতের ওই দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এই মর্মান্তিক বিল্ডিং বিপর্যয়ের পর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন। পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এরপরই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল, কীভাবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে কমিশনও রাজ্যের থেকে জবাব তলব করেছিল। এবার তার ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।